আজ ১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের বিজয় দিবস। আজ থেকে ৫০ বছর আগে বিশ্বের দরবারে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে সসম্মানে আত্মপ্রকাশ করেছিল ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ। ১৯৭১ এর মার্চ থেকে ডিসেম্বর অবধি দেশজুড়ে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনকারী বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
৬ ডিসেম্বরে ১৯৭১ সালে ভুটান ও ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু বেশির ভাগ দেশ এই স্বীকৃতি দিতে সময় নিয়েছিল। বলা হয়, ৬ ডিসেম্বরের এই উদ্যোগ ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পরিকল্পনার অংশ ছিল। এতে তিনি সফল হয়েছিলেন।
১৯৭১ সালের ৭ জুলাই হেনরি কিসিঞ্জার দিল্লি আসেন। দিল্লিতে এসে তিনি ইন্দিরা গান্ধীর বিশিষ্ট উপদেষ্টাদের সঙ্গে দেখা করেন। বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যদি যুদ্ধ হয়, তাহলে কিন্তু আমেরিকার পক্ষে ভারতকে সমর্থন করা সম্ভব হবে না। ১৯৭১ সালে কিসিঞ্জারের চলে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে গ্রোমিকো হঠাৎ দিল্লিতে আসেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পূর্ণ সমর্থন এবং কেন ভারত এই সমর্থন দিচ্ছে, তা পৃথিবীর কাছে জানানোর জন্য সেই সময় ইন্দিরা গান্ধী বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি তাঁর ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিলেন, যাতে অন্যান্য দেশও ভারতকে সমর্থন করে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ায়।
সেই সময়ের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বর্বরতা, এক ভয়াবহ যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে যাওয়া এক সংগ্রামী জাতির লড়াইয়ের ইতিহাস আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম যে বলিদানের সাক্ষী।
এ বিষয়ে এসবিএস বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্নভাবে সাক্ষী থাকা কলকাতার কয়েকজন সাংবাদিক।
পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: