প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজি তার দ্বিতীয় দফার মন্ত্রিসভা ঘোষণা দিতে গিয়ে বলছেন,"আমার সরকারের প্রতি যে আস্থা রাখা হয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে, তার জন্য আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আমরা সেটা কখনোই হালকাভাবে নেব না।"
নতুন মন্ত্রিসভায় অনেক মন্ত্রী আগের পদেই বহাল রয়েছেন—রিচার্ড মার্লস ডিফেন্স মিনিস্টার এবং ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার, জিম চামার্স ট্রেজারার, এবং পেনি ওয়ং ফরেন মিনিস্টার হিসেবেই থাকছেন।
বিল শর্টেন পার্লামেন্ট থেকে অবসর নেওয়ায়, ন্যাশনাল ডিসএবিলিটি ইনস্যুরেন্স স্কিমের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে মার্ক বাটলার এবং জেনি ম্যাকালিস্টারের মধ্যে।
এদিকে আলবানিজির গ্রূপের প্রতিদ্বন্দ্বী টানিয়া প্লাইবারসেক হতে যাচ্ছেন সমাজসেবা মন্ত্রী এবং মারি ওয়াট পরিবেশ মন্ত্রীর পদে উন্নীত হয়েছেন।
এন এলি ক্যাবিনেটে স্থান পেয়েছেন, এবং তাকে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন, ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং বহু-সংস্কৃতিবিষয়ক দায়িত্ব।
আলবানিজির প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা দুই মন্ত্রী—সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মার্ক ড্রেইফাস এবং বিজ্ঞান ও শিল্প মন্ত্রী এড হিউসিককে ব্যাকবেঞ্চে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ তারা আর মন্ত্রিসভায় নেই।
ধারণা করা হচ্ছে, এই রদবদল এসেছে লেবার পার্টির উপদলীয় দ্বন্দ্বের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার প্রয়োজনে।
নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে লেবার পার্টির বিভিন্ন মতাদর্শিক ও ভৌগোলিক গোষ্ঠীগুলোর জন্য একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার ভিত্তিতে মন্ত্রীসভার আসন বিন্যাস হয়ে থাকে। গোষ্ঠীগুলো সদস্যদের প্রস্তাব করে, আর প্রধানমন্ত্রী তাদের পোর্টফোলিও নির্ধারণ করেন।
নির্বাচনের পর দেখা যায় যে উপপ্রধানমন্ত্রী রিচার্ড মার্লসের নেতৃত্বাধীন ভিক্টোরিয়ান ডানপন্থীরা কম প্রতিনিধিত্ব পেয়েছে, ফলে তাদের জন্য দুটি অতিরিক্ত আসন দেওয়া হয়েছে—যা পেয়েছেন স্যাম রে ও ড্যানিয়েল মুলিনো, যারা জুনিয়র ও সহকারী মন্ত্রী হয়েছেন। তাদের জায়গা করে দিতেই ড্রেইফাস ও হিউসিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এড হিউসিক গতকাল এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে রিচার্ড মার্লসকে দায়ী করেছেন।
তবে প্রধানমন্ত্রী দলের এই পদ্ধতির সপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
তিনি বলছেন, "আমাদের ককাসে মন্ত্রিসভা নির্বাচনের পদ্ধতি যেমন, সেটাই হয়েছে। এডের সঙ্গে আমার আজ সকালে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। আমি সবসময়ই ককাসের সদস্যদের এবং অন্যান্য সংসদ সদস্যদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করি। আমি যেটা করেছি তা হলো পোর্টফোলিও বণ্টন, যেটা আমাদের প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি। এড এবং অন্যরাও এটা দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন করেছেন।"
সাবেক কমিউনিকেশনস মিনিস্টার মিশেল রোল্যান্ড হচ্ছেন নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল, আর টিম আয়ার্স পাচ্ছেন হিউসিকের পুরনো দায়িত্বগুলো।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন
এসবিএস বাংলা এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেলের অংশ।
এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুন প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে। এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে। ভিজিট করুন
চ্যানেল।