টাসমানিয়ার হোবার্টে এখন একটি নেপালি বার রয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় নেপালিদের জন্যে এরকম বার এটাই প্রথম।
নেপালি সোসাইটি অব টাসমানিয়ার সভাপতি খগেন্দ্র সত্যাল বলেন, এই বারটি স্থানীয় ক্রমবর্ধমান নেপালি কম্যুনিটিকে আপ্যায়ন করে।
কিন্তু সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, নেপালি নাগরিকদের সংখ্যা কেবল টাসমানিয়ায় নয় বরং সারা দেশেই বেড়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় নেপালে জন্মগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা ২০১৬ সালে যা ছিল, সেখান থেকে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। যার ফলে এ দেশে নেপালি জনসংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২২ হাজারেরও বেশি।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
তবে সংখ্যায় এরকম বড় পরিবর্তন দেখতে পাওয়া জনগোষ্ঠীদের মধ্যে নেপালিরাই একমাত্র নয়।
২০২১ সালের জনশুমারি আসলে অস্ট্রেলিয়ার বহুসংস্কৃতির রূপরেখা কতটা বদলে যাচ্ছে, তারই ইঙ্গিত দিয়েছে।
এই প্রথম অধিবাসীদেরর উৎস দেশ হিসেবে চীন ও নিউজিল্যান্ডের উপরে উঠে এসেছে ভারত।
ভারতে জন্মগ্রহণকারী কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছে এরকম মানুষের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। সংখ্যার দিক দিয়ে ভারত এখন তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
২০১৬ সালের সর্বশেষ জনশুমারির চেয়ে ২ লক্ষ ১৭ হাজার এরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এই সংখ্যা।
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
টারবানস ফর অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি ও কম্যুনিটির মুখপাত্র অমর সিং পনের বছর বয়সে প্রথম অস্ট্রেলিয়ায় আসেন।
তাঁর কম্যুনিটিতে নতুন অভিবাসী আসার ইতিবাচক প্রভাব তিনি নিজেই প্রত্যক্ষ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
READ MORE
এসবিএস বাংলা ফেসবুক নীতিমালা
জনশুমারি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ায় বেড়েছে দ্বিভাষিক মানুষের সংখ্যাও।
বাড়িতে ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলা মানুষের সংখ্যা এখন সারা দেশে ৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন।
গতবারের চেয়ে এই সংখ্যা এবারে বেড়েছে প্রায় ৮ লক্ষ জন।
ইংরেজির বাইরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহৃত ভাষা হিসেবে এবারেও ম্যান্ডারিন তার অবস্থান ধরে রেখেছে।
অস্ট্রেলিয়ান পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, সর্বশেষ প্রকাশিত সেনসাস তথ্য আজকের অস্ট্রেলিয়ার দ্রুত-পরিবর্তনশীল, ক্রমবর্ধমান এবং সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় এক জাতিকেই প্রতিফলিত করে। এবং সেই সাথে গত দুই দশকে অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসীদের বৈচিত্র্য কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে তারও ইঙ্গিত দেয়।
কিন্তু বহুসংস্কৃতিবাদ যখন বৃদ্ধি পায়, তখন সেই অনুপাতে সহযোগিতা বাড়ানোরও প্রয়োজন হয়।
কার্লো কার্লি হলেন ফেডারেশন ফর এথনিক কমিউনিটিজ ইন অস্ট্রেলিয়া (FECCA) এর চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, যারা খুব সম্প্রতি অভিবাসন করেছে তাদের সহযোগিতার জন্য আরও উদ্যোগের প্রয়োজন।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন:
আরও দেখুন:
'ওয়েলকাম টু কান্ট্রি' কী?