সিডনিতে বাংলাদেশ সুপার লিগ বা বিএসএল-এর তৃতীয় আসর শুরু হয়েছে গত ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ রবিবার থেকে। ২০২২ এর ফেব্রুয়ারি নাগাদ এর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সিডনিতে বাংলাদেশীদের আয়োজিত কমিউনিটি ক্রিকেটের অন্যতম আসর বিএসএল-এর প্রথম টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালে। এরপর দ্বিতীয়টি হয় ২০২০ সালে, যার ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১। প্রথম দু’টি আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাওয়ার সোর্স।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
মাল্টি-কালচারাল টুর্নামেন্ট অরিজিন ক্রিকেট কাপের অধীনে আয়োজিত হয়ে থাকে বিএসএল-এর টুর্নামেন্টগুলো। বিগত আট বছর ধরে অরিজিন কাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর কারণে অরিজিন কাপ এখন সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। আগামী বছর এটি আবার অনুষ্ঠিত হবে, বলেন বিএসএল-এর হেড অফ দ্য টুর্নামেন্ট সালমান আনোয়ার।
সিডনির বাংলাদেশী কমিউনিটিতে ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহ আছে, বলেন সালমান আনোয়ার। তিনি বলেন, এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে ৩০টি দল। আর এর আগের বার অংশ নিয়েছিল ২৪টি দল। তার মতে, বিএসএল-এ প্রায় ৫৫০ জনেরও বেশি বাংলাদেশী ক্রিকেটার অংশ নিচ্ছেন। এরা সবাই সিডনিতে বসবাস করেন।
সিডনিতে কোভিড-১৯ এর কারণে প্রায় চার মাস লকডাউন ছিল। এর প্রভাব পড়েছে কমিউনিটি ক্রিকেটে, বলেন তিনি।
“পরিবর্তনটা এসেছে, আমাদের ক্রিকেট শুরু করতে দেরি হয়েছে। কোভিড-১৯ এর ফলে এটাই সবচেয়ে বড় পরিবর্তন।”
দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশীদের মাঝে ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহ আছে বলে মনে করেন সালমান।
“আমাদের বাংলাদেশ সুপার লিগ যেহেতু শুধু বাংলাদেশীদের জন্য, অবশ্যই এখানে অনেক রকম আগ্রহ দেখা যায়। আমরা দেখেছি অনেক তরুণ খেলোয়াড়রা আমাদের বাংলাদেশ সুপার লিগে যোগ দিয়েছে। তারা আগেও খেলেছে, এবারও আমরা আশা করছি যে, আরও অনেক নতুন নতুন তরুণ খেলোয়াড়রা যোগ দিবেন।”
“১৫-১৬ বছর বয়সী খেলোয়াড়রাও বাংলাদেশ সুপার লিগে রেজিস্ট্রেশন করেছে। এবারও আমরা আশা করছি যে, ১৫-১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে অনেকেই থাকবে।”
“কোভিড-১৯ এর কারণে অনেক রকম চ্যালেঞ্জ আসলে রয়েছে। কোভিড-১৯ শুরু হওয়ার পর আমাদের বিভিন্ন রকম হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া, সবাইকে বলা যে, ১.৫ মিটার জনদূরত্ব বজায় রাখা, কেউ যদি অসুস্থ থাকে, তাহলে যেন মাঠে না আসে, এ রকমভাবে প্রত্যেক টিমকে বলা, এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল।”ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডাবল ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল, বলেন তিনি।
বিএসএল-এর হেড অফ দ্য টুর্নামেন্ট সালমান আনোয়ার বলেন, “স্পন্সর হিসেবে আমরা যে টাকাটা পাই, তা খেলাতেই চলে যায়। এতে কোনো লাভ করা যায় না।” Source: Salman Anwar
ক্রিকেটের সঙ্গে আর্থিক বিষয়গুলোর সম্পর্ক নিয়ে সালমান বলেন,
“আমি বলবো যে, আর্থিকভাবে আসলে কেউই লাভবান হচ্ছে না। বাংলাদেশ সুপার লিগ বিশুদ্ধভাবে কমিউনিটি ক্রিকেট। আমরা আমাদের স্পন্সরের মাধ্যমে যতটুকু টাকা পাই, সেগুলোতে আমরা বিভিন্ন রকম ক্রিকেটের আয়োজন করি। সেগুলোতে অনেক খরচ।”
“স্পন্সর হিসেবে আমরা যে টাকাটা পাই, তা খেলাতেই চলে যায়। এতে কোনো লাভ করা যায় না।”
খেলোয়াড়দের জার্সি ও প্রাইজ-মানি ছাড়াও অন্যান্য নানা রকম খরচের কথা বলেন সালমান। তারপরও তারা এটা চালিয়ে যাচ্ছেন ক্রিকেটের প্রতি তাদের ভালবাসা থেকে।
“আর্থিকভাবে আমরা কেউই লাভবান হই না, বরঞ্চ আমাদের পকেট থেকে অনেক টাকা-পয়সা যায়। কিন্তু, দিনের শেষে এটা আমাদের প্যাশন থেকে আমরা করি এবং টিমগুলো যে-ই টাকাটা দেয়, তারা উপভোগ করে। ... আর্থিকভাবে কেউই আসলে লাভবান হয় না। টিমগুলো টাকা দিয়ে ভাল টুর্নামেন্ট চায়। আমরা চেষ্টা করি, আমরা সবাই ভলান্টারি কাজ করি। প্লাস আমাদের পকেট থেকেও অনেক টাকা যায়।”
সালমান আনোয়ারের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।