ট্রেজারার জিম চালমার্সের এ বছরের ফেডারেল বাজেট ঘোষণা করেছেন গত মঙ্গলবারে। এ বাজেটে সব অস্ট্রেলিয়ানের জন্যে কিছু সুখবর রয়েছে বলে জানান তিনি।
জিম চালমার্স বলেন,
অস্ট্রেলিয়ান ট্যাক্সপেয়াররা আগামী দুই বছরে কিছু ট্যাক্স ছাড় পেতে চলেছেন।
যাদের আয়ের সীমা ১৮ হাজার ২০১ ডলার থেকে ৪৫ হাজার ডলারের মধ্যে, লেবার পার্টি আগামী বছর তাদের আয়কর ১৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করবে, এবং তার পরের বছর আরও কমিয়ে তা ১৪ শতাংশে নামিয়ে আনবে।
এর মানে হচ্ছে, যারা বছরে ৪৫ হাজার ডলারের বেশি আয় করেন তারা আগামী জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে বার্ষিক অতিরিক্ত ২৬৮ ডলার বেশি পাবেন, পরের প্রতি বছর যা বেড়ে ৫৩৬ ডলার হবে।
READ MORE

জীবনযাত্রার ব্যয় এতো বাড়ছে কেন?
এছাড়া জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে পূর্বে ঘোষিত অন্যান্য ব্যবস্থাগুলিও বহাল থাকবে, যার মধ্যে রয়েছে:
- প্রতিটি পরিবারের জন্য এনার্জি বিলে সহায়তা প্রদান।
- বাক বিলিংয়ে সহায়তার পরিমাণ ৮.৫ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি।
- এবং ফার্মাসিউটিক্যাল বেনিফিট স্কিমের অধীনে ওষুধের ব্যয় আরও হ্রাস করা। ট্রেজারার জিম চালমার্স বলেন, মুদ্রাস্ফীতি কমানো ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিসহ ভবিষ্যতের আরও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কথা মাথায় রেখে বাজেট তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া উৎপাদনশীলতা আরও বাড়াতে নন-কম্পিট ক্লজের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এই নিয়মটির কারণে কর্মীদের প্রতিযোগী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে চাকরির ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হত। এটি সরে গেলে চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে কর্মীদের স্বাধীনতা বাড়বে। জিম চালমার্স বলেন, এই নিয়মগুলোর কোন মানে হয় না। এর ফলে অনেক অস্ট্রেলিয়ানই নিজেদের আয় বাড়ানোর সুযোগ হারাচ্ছেন।
অর্থনীতি থিতু হতে শুরু করেছে বলে আশা করা হচ্ছে।
চলতি বছর মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেই সাথে মজুরি ৩ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
কিন্তু ফেডারেল ব্যয় আগামী এক দশকের জন্য বাজেটকে রেড জোনে রাখবে, চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি হবে প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার।
তবে ড. চালমার্স বলছেন, এটি খুব খারাপ নয়।
ট্রেজারার আরও বলেন,
অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এটি এখন একটি অনিশ্চিত সময়।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় বড় হুমকির পরেও ফেডারেল বাজেটে তার তেমন কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।
অস্ট্রেলিয়ার তৈরি পণ্যের প্রচারণায় মাত্র ২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে।
এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাটছাঁট সত্ত্বেও সহায়তার জন্য নতুন কোনও অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়নি।
তার পরিবর্তে আগামী বছর বৈশ্বিক সহায়তা কর্মসূচির ১২০ মিলিয়ন ডলার ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সরিয়ে নেয়া হবে।
জিম চালমার্স বলেন, সরকার তার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে।
লেবার পার্টি আশা করছে, যে কোনো সময় নির্বাচনের তারিখের ঘোষণা আসবে, তার আগে ঘোষিত এই বাজেট ভোটারদের উৎসাহী করার জন্য যথেষ্ট।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।