গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো
- এ বছর সম্মাননা পেয়েছেন ১০৪২ জন।
- এ পর্যন্ত মোট ৬ জন বাংলাদেশী-অস্ট্রেলিয়ান OAM এর কথা জানা যায়।
- ড. সাবরিন ফারুকিই প্রথম বাংলাদেশী-অস্ট্রেলিয়ান নারী OAM।
অস্ট্রেলিয়া ডে উপলক্ষে এ বছর বিভিন্ন ক্যাটাগোরিতে অনার এবং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১০৪২ জন অস্ট্রেলিয়ান।
মূলত তিনটি ক্যাটাগোরিতে এসব অনার ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এগুলো হলো, অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া অনার্স (জেনারেল অ্যান্ড মিলিটারি ডিভিশন্স); মেরিটোরিয়াস অ্যাওয়ার্ডস; এবং ডিস্টিংগুইশড অ্যান্ড কন্সপিকিউয়াস অ্যাওয়ার্ডস (মিলিটারি)।
অস্ট্রেলিয়া ডে ২০২৪ অনার্স লিস্টে অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া জেনারেল ডিভিশন-এ সর্বমোট ৭৩৯ জন স্থান পেয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জন পেয়েছেন কোম্পানিয়ন অব দ্য অর্ডার (AC); ৩৮ জন পেয়েছেন অফিসার অব দ্য অর্ডার (AO); ১৯৪ জন পেয়েছেন মেম্বার অব দ্য অর্ডার (AM); এবং ৫০৩ জন পেয়েছেন মেডাল অব দ্য অর্ডার (OAM)।
৩৭৩ জন নারী এবার এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন, যা জেনারেল ডিভিশনে স্বীকৃতিপ্রাপ্তদের অর্ধেকেরও বেশি (৫০.৫%)। ১৯৭৫ সালে অস্ট্রেলিয়ান অনার্স সিস্টেম চালু হওয়ার পরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার জেনারেল ডিভিশনে পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি স্বীকৃতি পেল।
তালিকায় স্থানপ্রাপ্তদের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সীর বয়স ৩২ বছর এবং সবচেয়ে বেশি ১০০ বছর বয়সী ব্যক্তি রয়েছেন।

ড. সাবরিন ফারুকি বলেন, “জীবনে আসলে দুই-তিনবার আমি এখানে রেসিস্ট ওয়ার্ডের ভিক্টিম হয়েছি। বাট আমার কর্মক্ষেত্রে কখনোই প্রভাব পড়ে নি। বরঞ্চ, মানুষ আমাকে খুবই সম্মান করেছে।” Source: Supplied / Dr Sabrin Farooqui
এই স্বীকৃতি পেয়ে খুব সম্মানিত বোধ করছেন, বলেন তিনি।
সাবরিন ফারুকির জন্ম ঢাকায়। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। তারপর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় এসে দ্বিতীয়বার মাস্টার্স ও পিএইচডি করার পর শিক্ষকতা ও সরকারি চাকুরির পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজেও জড়িয়েছেন সাবরিন।
ফেয়ারওয়ার্ক কমিশন এবং অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্টাটিক্স-এ কাজ করার পর গত দু’বছর ধরে ফেয়ারওয়ার্ক অমবাডসম্যান হিসেবে কাজ করছেন।
স্বেচ্ছাসেবার অংশ হিসেবে তিনি এখন একটি অলাভজনক দাতব্য প্রতিষ্ঠান কালচারাল ডাইভার্সিটি নেটওয়ার্ক ইনকর্পোরেটেড (CDNI) পরিচালনা করছেন।
তাকে সবসময় পর্দা করতে দেখা যায়। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,
“আমি এত সুন্দর একটি দেশে আছি, অস্ট্রেলিয়াতে, যেখানে আমার এই পর্দা কখনও কোনো প্রভাব ফেলে নি আমার কাজে। কোনো নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট হয় নি।”
তিনি আরও বলেন,
“আমি এটা বলবো না যে, কোথাও রেসিজম নেই।”
“জীবনে আসলে দুই-তিনবার আমি এখানে রেসিস্ট ওয়ার্ডের ভিক্টিম হয়েছি। বাট আমার কর্মক্ষেত্রে কখনোই প্রভাব পড়ে নি। বরঞ্চ, মানুষ আমাকে খুবই সম্মান করেছে।”
নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে ড. ফারুকি বলেন,
“আমি চাই যে, ছেলে-মেয়ে সবারই আসলে ফাইনান্সিয়ালি ইনডিপেন্ডেন্টস দরকার। এটা আমার বিশ্বাস এবং আমি পার্টিকুলারলি বিশ্বাস করি যে, মহিলাদের ফাইনান্সিয়াল ইনডিপেন্ডেন্টস খুবই দরকার এদেশে, যারা মাইগ্রান্টস।”
“ফাইনান্সিয়াল ইনডিপেন্ডেন্টস না থাকায় ওদের আত্মবিশ্বাসটা থাকে না অনেক ক্ষেত্রে।”
“এই পার্টিকুলার এরিয়াতে আমি কাজ করছি।”
তিনি তাদের কর্ম-সংস্থানের ক্ষেত্রেও সহায়তা করছেন বলে জানান।
ড. সাবরিন ফারুকির সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস রেডিও সম্প্রচার-সূচী হালনাগাদ করেছে, এখন থেকে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার, বিকাল ৩টায়, এসবিএস পপদেশীতে আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন, লাইভ।
কিংবা, পুরনো সময়সূচীতেও আপনি আমাদের অনুষ্ঠান শোনা চালিয়ে যেতে পারেন। প্রতি সোম ও শনিবার, সন্ধ্যা ৬টায়, এসবিএস-২ এ।

৫ অক্টোবর থেকে নতুন চ্যানেলে ও নতুন সময়ে যাচ্ছে SBS Bangla Credit: SBS