২০২৩ এসিটি অস্ট্রেলিয়ান অফ দ্য ইয়ার (লোকাল হিরো) অ্যাওয়ার্ড পেলেন ড. শামারুহ মির্জা

shama with andrew barr.png

2023 ACT Australians of the Year (Local Hero) recipient Dr. Shamaruh Mirza is seen with ACT Chief Minister, Andrew Barr at the award ceremony at the National Gallery of Australia, Canberra. Credit: ACT Chief Minister, Andrew Barr/ Facebook

গত বুধবার অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল গ্যালারিতে একটি অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার জন্য অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটেল টেরিটোরির চার জনকে '২০২৩ এসিটি অস্ট্রেলিয়ান অফ দ্য ইয়ার' হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে, যার মধ্যে 'লোকাল হিরো' অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন সিতারা'স স্টোরির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. শামারুহ মির্জা।


অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্টেট ও টেরিটোরিতে বহু ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রময় সমাজের জন্য কাজ করেন এমন প্রগতিশীল নাগরিকদের অস্ট্রেলিয়ান অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।

অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটেল টেরিটোরিতে ২০২৩ সালের জন্য অস্ট্রেলিয়ান অফ দ্য ইয়ার মনোনয়ন পেয়েছিলেন ১৬ জন, যাদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি অভিবাসী ড. শামারুহ মির্জা এবং নাজমুল হাসান।

ড. শামারুহ মির্জা পেশায় একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং সিতারা'স স্টোরি (SiTara's Story) নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী অলাভজনক সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। প্রতিষ্ঠানটি নারীদের একে অপরকে সহায়তা, ক্ষমতায়ন এবং নিরাপদ পরিবেশ দিয়ে থাকে।

পেশাগত অভিজ্ঞতা থেকে ড. মির্জা উপলব্ধি করেন যে মানুষের সাথে আন্তঃসম্পর্ক রক্ষা করা এবং ইতিবাচকভাবে নিজের অনুভূতির প্রকাশ করা তার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য যেকোনো ওষুধের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।

বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক পটভূমির নারীদেরকে তাদের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করতে এবং আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ দিতে তিনি ২০১৭ সালে সিতারা'স স্টোরি সংগঠনটি যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করেন।

এর আগে ক্যানবেরা কমিউনিটি স্পিরিট অ্যাওয়ার্ড ২০২১-এর ফাইনালিস্ট শামারুহ মির্জা এসবিএস বাংলাকে বলেন, 'এই অ্যাওয়ার্ডটি সিতারা'স স্টোরির পুরো টিমের জন্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, এ কারণে যে এটি আমাদের কাজের স্বীকৃতি।'

'এর মাধ্যমে গত পাঁচ বছর ধরে আমরা যে কাজগুলো করছি, তার যে একটা প্রভাব সমাজে তৈরী হয়েছে, এটি তারও স্বীকৃতি।'
শামারুহ মির্জা জানান, তাদের সংগঠন মাল্টি কালচারাল কমুউনিটির মধ্যে আন্তঃ প্রজন্মগত চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছে।

শামারুহ মির্জার পিতা বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব বর্ষীয়ান নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এসিটি থেকে ২০২৩ অস্ট্রেলিয়ান অফ ইয়ার (লোকাল হিরো) ক্যাটাগরি থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন নাজমুল হাসান। তিনি করোনাকালীন সময়ে সমস্যায় থাকা মানুষদের জন্য ক্যানবেরায় বিনামূল্যে সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে গরম খাবার সরবরাহ করেছিলেন।

পরবর্তীতে তার এই মহতী উদ্যোগে শামিল হয় আরো অনেকে। তার কার্যক্রমকে আরো বাড়াতে এরপর তিনি 'রাহিমুন' নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

তার কাজের সীকৃতি হিসেবে এর আগে তিনি গভর্নর জেনারেল থেকে সম্মাননা, এসিটি আউটস্ট্যান্ডিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ফর ডাইভারসিটি এন্ড ইনক্লুশন ২০২২, এবং এবিসি কমিউনিটি স্পিরিট অ্যাওয়ার্ডস ২০২২ জিতেছিলেন।
Shama and Nazmul.jpeg
2023 ACT Australian of the year (Local Hero) recipient Dr. Shamaruh Mirza (2nd from left) and nominee Nazmul Hasan (1st from left) are seen alongwith ACT Chief Minister Andrew Barr MLA (1st from right) at the award ceremony at the National Gallery of Australia, Canberra. Credit: Australian of the year
এসিটি থেকে ২০২৩ অস্ট্রেলিয়ান অফ ইয়ার মনোনয়ন প্রসঙ্গে পেশায় তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মি. হাসান এসবিএস বাংলাকে বলেন, এটি ছিল আমার জন্য বড় একটা অনুপ্রেরণা এবং সম্মান। এর ফলে আমার কাজগুলো সামনে আরো এগিয়ে নিতে এটা আমাকে আরো সুযোগ দেবে।

তার সংগঠন 'রাহিমুন'-এর কার্যক্রম সম্পর্কে নাজমুল হাসান বলেন, 'আমরা এখন তরুণদের নিয়ে কাজ করছি, বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসী গ্রুপগুলো থেকে তরুণদের ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সচেতনতা তৈরীর চেষ্টা করছি।'

সংগঠনের মাধ্যমে আগামী কিছুদিনের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ান কমিউনিটিতে স্বাস্থ্য সমস্যা বিশেষ করে হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম শুরু করবেন বলে জানান নাজমুল হাসান।

সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 


Share