ইলেকশান এক্সপ্লেইনার: ফেডারাল নির্বাচনে আগাম ভোট বা আর্লি ভোটিং যেভাবে কাজ করে

Postal Vote Counting In Marginal Seat Of Hasluck Continues

Postal vote counting in the WA electorate of Hasluck Source: Getty Images/ Paul Kane

Get the SBS Audio app

Other ways to listen


Published

Updated

By Stephanie Corsetti
Presented by Tareq Nurul Hasan
Source: SBS

Share this with family and friends


উপযুক্ত কারণ থাকলে নির্বাচনের দিনের আগের দুই সপ্তাহ ধরে ভোটাররা আগাম ভোট প্রদান করতে পারবেন


অস্ট্রেলীয় নাগরিকরা ফেডারাল নির্বাচনে ভোট দেয়ার উদ্দেশ্যে আগামী মে মাসে ভোটকেন্দ্রে হাজির হবেন। তবে অনেকেই ‘আর্লি ভোটিং’ অর্থাৎ নির্বাচনের দিনের পূর্বেই আগাম ভোট দেয়ার সুবিধা গ্রহণ করবেন।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, আগাম ভোট দেয়ার এই প্রবণতা ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। অস্ট্রেলীয় নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত প্রমাণাদিও এই তথ্য সমর্থন করছে।
এই বছরের ফেডারাল নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং সম্ভাব্য প্রার্থীরা কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের শিথিলতার সুযোগ নিয়ে আরও বেশি রাজনৈতিক ইভেন্ট পরিচালনা করতে ও ভোটারদের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করতে পেরেছেন।

এরকম দেখা-সাক্ষাৎ বা ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’, গোলটেবিল আলোচনা এবং ছবি তোলার আয়োজনগুলো সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ জনগণকে বেশ আকৃষ্ট করে তুলছে এবং স্বভাবতই প্রভাব ফেলছে নির্বাচনের দিন ভোটাররা কাকে সমর্থন দেবেন সেই সিদ্ধান্তের ওপর।

অস্ট্রেলীয় নির্বাচন কমিশনের ইভান ইকিন-স্মিথ বলেন, ভোটাররা কত আগে ভোট দিবেন এবং এ ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেবেন সে ব্যাপারে এখনি পরিষ্কার করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

ভোটাররা সশরীরে প্রাক-নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোয় গিয়ে আগাম ভোট দিতে পারবেন। অথবা ডাকযোগেও আগাম ভোট প্রদান করা যাবে।

কিন্তু ইভান ইকিন-স্মিথ জানান, তাঁর ধারণা বেশিরভাগ লোক নির্বাচনী কেন্দ্রে গিয়েই ভোট দিবে।

বেশ অনেকগুলো কারণে আগাম ভোট বা ডাকযোগে ভোট দেয়া যাবে। যেমন- ভোটের দিন নিজের নির্বাচনী এলাকার বাইরে থাকতে হলে, অথবা নিকটস্থ ভোটকেন্দ্র আট কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে থাকলে, বা সেদিন যদি নিজের কর্মক্ষেত্র থেকে বের হয়ে ভোট দেওয়ার উপায় না থাকে- এই সবগুলোই উপযুক্ত কারণ।

অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে যদি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শংকা থাকে, বা কোনও কারণে আইনশৃংখলা রক্ষাবাহিনীর হাতে আটক থাকে, অথবা যদি ধর্মীয় বিধিনিষেধের কারণে ভোটকেন্দ্রে যেতে কেউ অপারগ হয়।

অসুস্থতাজনিত কারণ এবং গর্ভাবস্থাও আগাম ভোটের জন্যে বৈধ কারণ হিসেবে গন্য হতে পারে।

লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রিসার্চ ফেলো ইয়ান টুলোক বলেছেন, আগাম ভোট অনেকভাবেই নির্বাচনী প্রচারণার গতিশীলতাকে প্রভাবিত করে।

নির্বাচনের দিনের আগের দুই সপ্তাহ ধরে ভোটাররা আগাম ভোট দিতে পারবেন। এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে অস্ট্রেলীয় । 


এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত।
রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন:  

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 



Share