মেলবোর্নের সাউথ-ইস্ট-এর ম্যাককিনন সেকেন্ডারি কলেজে প্রতিদিন সকালে শিক্ষার্থীরা তাদের মোবাইল ফোন সাইলেন্ট করে তাদের লকারে রেখে দেয়।
দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র অ্যাডাম আলফাওয়াল বলেন, স্কুলের কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা আর মোবাইল ডিভাইসে হাত দিতে পারেন না।
গত ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে ক্লাসরুমে মোবাইল ফোন রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফিবি লকের মতে, এর একটি ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
ভিক্টোরিয়া কর্তৃপক্ষ তাদের রাজ্য জুড়ে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আগামী বছর থেকে এটি কার্যকর হবে। ফেডারাল সরকারের এডুকেশন মিনিস্টার ড্যান টিহান চান অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য স্টেটও যেন একই রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
স্টেট এবং ফেডারাল এডুকেশন মিনিস্টারদের একটি সভায় অংশ নেন কানাডিয়ান বিশেষজ্ঞ, প্রফেসর লুইস ফিলিপ বি-ল্যান। তিনি সেখানে বলেন, মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হলে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং তাদের পারফরম্যান্সও প্রায় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
ম্যাককিনন সেকেন্ডারি কলেজের প্রিন্সিপাল পিটসা বিনিয়ন বলেন, ফোন নিষিদ্ধ করার উপজাত হচ্ছে সকাল এবং দুপুরের খাবারের বিরতির সময়ে স্কুল-প্রাঙ্গনে নাটকীয়ভাবে হৈচৈ ও শোরগোলের শব্দ বেড়ে যাওয়া।
তবে সকল শিক্ষাবিদ এই নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপের সঙ্গে একমত হন নি। প্রিন্সিপাল অ্যাসোসিয়েশন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এর ফলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের বিরোধ সৃষ্টি হতে পারে, যারা পড়াশোনা-বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য মোবাইল ফোনের উপর নির্ভর করে থাকেন।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।