আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা শেষে কাজের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার

news

The Government will increase the duration of post study work rights of international students. Credit: Stock Photo

দক্ষ কর্মীসংকটের মোকাবেলা করতে বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এই যৌথ ঘোষণা দিয়েছেন হোম অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার ক্লেয়ার ও’নিল এবং এডুকেশান মিনিস্টার জ্যাসন ক্লেয়ার।


গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো
  • বিভিন্ন পর্যায়ের বাছাইকৃত বিষয়ের ডিগ্রিধারীদের কাজের ভিসার মেয়াদ আরও দুই বছর করে বাড়ানো হতে পারে
  • কোন কোন বিষয়ের জন্যে এটি প্রযোজ্য তার চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে অক্টোবর মাসে
  • পড়াশোনারত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা কত ঘন্টা কাজ করতে পারবে, সে বিষয়ে নিয়ম শিথিল থাকবে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত
এ বছরে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর সংকট হওয়ার খবর এখন আর নতুন কিছু নয়। কোভিড মহামারীর সময়কালীন আন্তর্জাতিক সীমান্ত বিভিন্ন মেয়াদে বন্ধ ছিল। যে সময়ে খোলা ছিল, তখনো চালু ছিল অনেক রকমের বিধিনিষেধ।

পর্যটক ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আগমনের হার অনেক কমে গিয়েছিল সে সময়ে।

এরকম কিছু কারণে অস্ট্রেলিয়ায় দেখা দিয়েছে দক্ষ কর্মীদের সংকট। বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্র এর ফলে প্রতিনিয়ত লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে।

ফেডারেল ও স্টেট সরকারগুলো এই সংকট মোকাবেলা করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিভিন্ন স্টেটে স্কিলড মাইগ্রেশান প্রোগ্রাম হালনাগাদ করে চালু করা হয়েছে।

ফেডারেল সরকার ঘোষণা দিয়েছে এই বছরে মাইগ্রেশান ক্যাপ ১ লক্ষ ৬০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার করা হবে। এর ফলে প্রায় ৩৫ হাজার বেশি আবেদনকারী অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজ করার সুযোগ পাবেন।

এই ধারায় নতুন সংযুক্তি পড়াশোনা শেষ করার পরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেয়াদে অস্ট্রেলিয়াতে বসবাস করে কাজ করার সুযোগ দেয়া। এবং পড়াশোনারত শিক্ষার্থীদের সাময়িক ভাবে কাজের সর্বোচ্চ সময়সীমার উপরে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা।

মেলবোর্নের ভ্যানটেজ এডুকেশান অ্যান্ড মাইগ্রেশান ওয়ার্ল্ডওয়াইড-এ কর্মরত মিজ প্রিয়াঙ্কা সাহা এই বদলগুলো নিয়ে কথা বলেছেন এসবিএস বাংলার সঙ্গে।

পড়াশোনা শেষে অস্ট্রেলিয়ায় কাজের অনুমতি

মিজ প্রিয়াঙ্কা সাহা জানিয়েছেন, বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে বিভিন্ন মেয়াদে এ দেশে কাজ করার অনুমতি পাবে।

হোম অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার থেকে জানা গেছে, বাছাইকৃত ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীদের কাজের ভিসার মেয়াদ দুই বছর থেকে বাড়িয়ে চার বছর করা হবে।

বাছাইকৃত মাস্টার্স ডিগ্রীধারীদের জন্যে এটি তিন বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর, আর বাছাইকৃত পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের জন্যে তা চার বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রী জ্যাসন ক্লেয়ার এ প্রসঙ্গে বলেন, এই মুহুর্তে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ১৬ শতাংশ তাদের শিক্ষা সমাপ্তের পরে এ দেশে কাজের জন্যে থেকে যায়।

এই বদলের ফলে তারা আরও বেশি সময় ধরে এ দেশে পাওয়া শিক্ষা এ দেশেই কাজে লাগানোর সুযোগ পাবে, আর অস্ট্রেলিয়া দক্ষ কর্মী সংকটের এই সময়ে তা থেকে লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা মন্ত্রী।

অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কর্মঘন্টার সময়সীমা শিথিল

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা প্রতি দুই সপ্তাহে কত ঘন্টা কাজ করতে পারবে, সেই সময়সীমার উপর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল।

আগে প্রতি দুই সপ্তাহে সর্বোচ্চ চল্লিশ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারত একজন শিক্ষার্থী, কিন্তু এখন আর সেই নিষেধাজ্ঞা নেই।

মিজ প্রিয়াঙ্কা সাহা বলেন, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এই নিয়ম বদল হয়েছে, আর এটি বহাল থাকবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সাথে সাথে তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই সুবিধা পাবেন।

তবে শিক্ষার্থীদের ভিসার অন্যান্য শর্ত পূরণ করতে হবে। যেমন কোনও একটি কোর্সে ভর্তি থাকা, সেটিতে নিয়মিত উপস্থিত থাকা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শর্ত অনুযায়ী লেখাপড়ার মান ধরে রাখা।

কোর্স শুরু হওয়ার আগেই অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গেলে কাজ শুরু করে দেয়ার উপরে কোনও নিষেধাজ্ঞাও এখন নেই।

ডিপার্টমেন্ট অব হোম অ্যাফেয়ার্সের ওয়েবসাইট থেকে আরও জানা গেছে যে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত যেসকল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন, তারা তাদের ভিসা অ্যাপ্লিকেশন চার্জ ফেরত পাওয়ার জন্যে আবেদন করতে পারবেন। এই আবেদনের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০২২।

এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের জন্যে দেখুন

সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও লিংকে ক্লিক করুন।

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share