অস্ট্রেলিয়ায় লক্ষ লক্ষ লোক কোভিড ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। কিন্তু, যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ধীরে ধীরে আরোগ্য লাভ করছেন, তাদেরও কি কোভিড ভ্যাকসিন নিতে হবে? এ সম্পর্কে ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, হ্যাঁ, তাদেরকেও ভ্যাকসিন নিতে হবে।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
অস্ট্রেলিয়ান টেকনিকাল অ্যাডভাইজোরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (ATAGI) (আটাগি) পরামর্শ দিচ্ছে, যারা কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হয়েছেন, তাদেরকে টিকা গ্রহণের জন্য সংক্রমণের পর ছয় মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর মাইকেল কিড-এর মতে, প্রতি দশ জনে এক জন লোকের কোভিড-১৯ এর তথাকথিত “লং কোভিড” এর অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সিডনির ওয়েস্টমিড ইনস্টিটিউট ফর মেডিকেল রিসার্চ এর সেন্টার ফর ভাইরাস রিসার্চ এর কো-ডাইরেক্টর প্রফেসর টনি কানিংহ্যাম বলেন, সেই ধরনের লোকের জন্য সতর্কতার সাথে অগ্রসর হওয়াটাই দূরদর্শীতার পরিচয় হবে।
কোভিড-১৯ এ একবার আক্রান্ত হওয়ার পর পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার কি কোনো ঝুঁকি আছে?
ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলসের কার্বি ইনস্টিটিউটের ইনফেকশন অ্যানালিটিক্স প্রোগ্রামের হেড, প্রফেসর মাইলস ডেভেনপোর্ট বলেন, স্বল্প-মেয়াদে, এক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের মতোই সুরক্ষা পেতে দেখা যায়।
তবে, এক্ষেত্রে যে-সব গবেষণা করা হয়েছে, সেগুলো মূলত করা হয়েছে কোভিড-১৯ এর “অ্যানসেস্ট্রাল” বা পুরুষানুক্রমিক স্ট্রেইন নিয়ে; ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে নয়।
যে-সব লোক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন, তারা কি অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের চেয়ে বেশি ইমিউনিটি বা সুরক্ষা পান কিনা সে বিষয়ে গবেষণা চলছে।
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর ব্যক্তিরা সবাই সমান ইমিউনিটি বা সুরক্ষা লাভ করেন না। প্রফেসর কানিংহ্যাম বলেন, সংক্রমণ যত তীব্র হয়, আক্রান্ত ব্যক্তি ততো বেশি সুরক্ষা লাভ করেন।
তিনি বলেন, বেশি নাজুক ব্যক্তিদের উচিত আক্রান্ত হওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণ করা।
নিউ সাউথ ওয়েলস হেলথ পরামর্শ দিচ্ছে যে, যে-সব স্থানে বেশি সংক্রমণ-ঝুঁকি রয়েছে, সে-সব স্থানে কর্মরত ব্যক্তিদের উচিত আগেভাগেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করা।
প্রফেসর কানিংহ্যাম বলেন, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর যে-সব লোক ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন, তারা উচ্চ পর্যায়ের সুরক্ষা লাভ করেন তাদের তুলনায়, যাদের কখনই এ সংক্রমণ হয় নি।
নিউ সাউথ ওয়েলসে প্রিমিয়ার গ্লাডিস বেরেজিক্লিয়ান বলেন, যখন টিকাদান লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে তখন টিকাগ্রহণকারীরা, অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করবেন। আর, সংক্রমিত হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে যারা ইমিউনিটি বা সুরক্ষা লাভ করেছেন, তাদের জন্য নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করার কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় নি।
প্রফেসর কানিংহ্যাম বলেন, এ বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনার দরকার আছে।
ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে পরামর্শের জন্য একজন ডাক্তারের কাছে যেতে বলা হচ্ছে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।