জিপি ডাক্তার চৌধুরী সাইফুল আলম বেগ বলেন,
“ভ্যাকসিন প্রায় ৯০ শতাংশ কার্যকর। প্রথম ডোজ দেওয়ার পর এর প্রতিরোধ-ক্ষমতা ৪০ শতাংশ আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরে আমাদের সংক্রমণ কমে যায় ৮০-৯০ শতাংশ।”
READ MORE

নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
তিনি আরও বলেন,
“কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়া কোনো রোগী এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় আই-সি-ইউতে ভর্তি হয় নি। এতে বোঝা যাচ্ছে যে, এই ভ্যাকসিনটা আসলেই কার্যকর এবং এই ভ্যাকসিন নিলে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বেড়ে যায়।”
কোভিড ভ্যাকসিনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন,
“যে-কোনো ভ্যাকসিনেরই পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া আছে। কোভিড ভ্যাকসিনের যেই পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াগুলো আছে, সাধারণত অন্যান্য ভ্যাকসিনের মতোই এই ভ্যাকসিনগুলোরও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া অনেকটা একই রকম। যেমন ধরেন, কারও ইঞ্জেকশনের স্থানে ব্যথা হতে পারে, কারও হালকা জ্বর জ্বর ভাব হতে পারে, মাসলে ব্যথা হতে পারে, কারও কারও একটু দুর্বল বোধ হতে পারে, কখনও কখনও একটু বমি বমি ভাব হতে পারে। এগুলো সবই সাধারণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। এগুলো নিরাময় করার জন্য আমাদের খুব বেশি বেগ পেতে হয় না।”
রক্ত জমাট বাঁধা সম্পর্কে তিনি বলেন,
“৫০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টিকাগ্রহণকারীর মধ্যে এক জনের রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা আছে। এটা পায়ে হতে পারে, ফুসফুসে হতে পারে কিংবা ব্রেনে হতে পারে। আর, মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশে রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা আরও কম, প্রতি মিলিয়নে ২-৩ জনের হতে পারে।”
টিকা গ্রহণের পরও কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় বলে মন্তব্য করেন ডা. বেগ। তিনি বলেন, কোভিড-সংক্রমিত হওয়ার পরেও ভ্যাকসিন নিতে হবে। প্রতিবছরই কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়া লাগতে পারে, বলেন তিনি।
ডা. চৌধুরী বেগের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

জিপি ডাক্তার চৌধুরী সাইফুল আলম বেগ বলেন, “কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়া কোনো রোগী এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় আই-সি-ইউতে ভর্তি হয় নি।” Source: Dr Chowdhury Beg