অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক রুবাইয়াৎ সরওয়ার অস্ট্রেলিয়ায় আসেন গত বছর। আসার পরপরই তিনি পরিবর্তিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। তিনি বলেন,
“আমি অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। আসার পরপর, মাত্র দু’সপ্তাহ আমরা ফেস-টু-ফেস ক্লাস পেলাম। তার পরপরই সব ক্লাস অনলাইন ভার্সনে চলে গেল।”
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
মুখোমুখি ক্লাস ও অনলাইন ক্লাসের মাঝে তুলনা করতে গিয়ে তিনি বলেন,
“আসলে কোভিড-১৯ এই বিষয়টাই সারা পৃথিবীতে নতুন। একদম সবকিছুই নতুন আঙ্গিকে দেখতে হচ্ছে।”
“তুলনা করতে হলে, আসলে এ ব্যাপারটা এত নতুন, তুলনা করা যাচ্ছে শুধু আমাদের আগের অভিজ্ঞতার সঙ্গে।”
রুবাইয়াৎ বলেন, এক্ষেত্রে শিক্ষকদেরকে সামনা-সামনি দেখা যায় না, প্রশ্ন করা যায় না। এছাড়া, অনেক ছাত্র-ছাত্রী জুম, মাইক্রোসফট টিম কিংবা অন্য কোনো কোলাবোরেশন টুলস ব্যবহার করে অভ্যস্ত নন। এসব নিয়ে তাদেরকে বেগ পেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন,
“আমিও তাদের ব্যতিক্রম না। শুরুতে এই বিষয়টা নিয়ে আমারও খুব সংগ্রাম করতে হয়েছে।”
এত কিছুর পরও তিনি একটি ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন।
“সেটা হলো, যেহেতু এগুলো রেকর্ডেড ক্লাস, রেকর্ডিং থাকার কারণে একেকটা ক্লাস, একজন শিক্ষার্থী যতবার খুশি ততবার দেখতে পারেন। যেটা ফেস-টু-ফেস ক্লাসে সম্ভব ছিল না।”
“আমরা হয়তো নোট নিতাম, বা যতটুকু মাথায় গেঁথে নেওয়া সম্ভব ততটুকু করতাম। ওটাই শুধু চোখ বুলানোর সুযোগ ছিল। আর, এখন, রেকর্ডিং যতবার খুশি ততবার দেখা যায়।”রুবাইয়াৎ সরওয়ারের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক রুবাইয়াৎ সরওয়ার অস্ট্রেলিয়ায় আসেন গত বছর। Source: Rubayat Sarwar