প্রধানমন্ত্রী মরিসন ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বণ নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার নীতি নিয়ে জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত হচ্ছেন

Australian Prime Minister Scott Morrison speaks to the media during a press conference at Parliament House in Canberra, Tuesday, October 26, 2021. (AAP Image/Lukas Coch) NO ARCHIVING

Australian Prime Minister Scott Morrison speaks to the media during a press conference at Parliament House in Canberra. Source: AAP

প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যে তার সরকার এই শতাব্দীর মাঝামাঝি নাগাদ কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে একটি নীতি নিয়ে গ্লাসগোতে যাবে। কয়েক মাস আলোচনার পর রাজনৈতিক ও বৈজ্ঞানিক যাচাই-বাছাইয়ের জন্য চূড়ান্ত চুক্তিটি প্রকাশ করা হয়েছে।


গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো 

  • হাইড্রোজেন, কম খরচে সৌরশক্তি এবং ইস্পাত ও সিমেন্টের মতো শিল্পে যাতে কম নিঃসরণ হয় এজন্য ২০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে
  • নেট জিরো নীতির কারণে নতুন কর্মসংস্থান হবে এবং এজন্য বিদ্যুতের দাম বাড়বে না
  • তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়া কার্বন নিঃসরণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করায় বিশ্ব মঞ্চে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে

 

সামনে আরও ভয়ংকর গ্রীষ্ম মৌসুম, শুষ্ক জলবায়ু এবং তীব্র আবহাওয়া সমুদ্রের পৃষ্ঠের উপরে এবং নীচে ধ্বংসের কারণ হবে বলে সতর্কতা দেয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন যে ২০৫০ সালের মধ্যে নেট জিরোতে পৌঁছাতে তার সরকার নতুন অবস্থান নিচ্ছে।

নেট জিরো অর্জনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি।

পরবর্তী দশকে হাইড্রোজেন, কম খরচে সৌরশক্তি এবং ইস্পাত ও সিমেন্টের মতো শিল্পে যাতে কম নিঃসরণ হয় এজন্য ২০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে।

এজন্য মাটির নিচে কার্বন সঞ্চয় করে, ক্যাপচার এবং স্টোরেজ বা সিকোয়েস্ট্রশন পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে।
মিঃ মরিসন বলেছেন যে এই নীতিগুলি সামনে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে পথ দেখাবে।

জ্বালানি মন্ত্রী অ্যাঙ্গাস টেলর বলেছেন যে নেট জিরো নীতির কারণে নতুন কর্মসংস্থান হবে এবং এজন্য বিদ্যুতের দাম বাড়বে না।

যদিও জোটের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে চুক্তি করা হয়েছে, তবে বিরোধীদলীয় নেতা অ্যান্থনি আলবানিজি বলেন, নীতি গ্রহণ করতে জোট বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

উপ-প্রধানমন্ত্রী বার্নাবি জয়েস তার ন্যাশনাল পার্টির সহকর্মীদের সাথে মধ্য-শতাব্দীর এই লক্ষ্যমাত্রার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগতভাবে বিরোধিতা করেছেন বলে জানা গেছে।

গ্রিনস লিডার অ্যাডাম ব্যান্ডট বলেছেন যে কোয়ালিশনের এই ঘোষণা মোটেও যথেষ্ট না।

তিনি বলেন, আমাদের দূষণ কীভাবে কমবে তার কোনো পরিকল্পনা নেই। তথাকথিত দূষণ কমানোর জন্য যা করা হবে তা হচ্ছে শুভঙ্করের ফাঁকি, এবং প্রযুক্তি ব্যবহার হবে যেন ইউনিকর্নে চড়ে, যার কোন অস্তিত্বই নেই। এটি সম্পূর্ণ প্রতারণা।
সরকার তার ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ থেকে ২৮ শতাংশ গ্রীনহাউস নির্গমন হ্রাসের পরিকল্পনা দ্রুত করবে না। তবে তারা ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ হ্রাস হবে বলে ধারণা করছে। 

ক্লাইমেট কাউন্সিল অধ্যাপক উইল স্টেফেন বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া এই বিষয়ে বিশ্ব মঞ্চে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, অনেক দেশ উপলব্ধি করছে যে প্যারিস জলবায়ুবিষয়ক লক্ষ্যগুলি পূরণ করতে ২০৩০ সালকেই ফোকাস করতে হবে।

স্কট মরিসন এই উইকেন্ডে গ্লাসগোতে অবস্থান করবেন।

পুরো প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .

আরও দেখুন:



Share