‘প্রাসঙ্গিক ভাবনা’য় এসবিএস বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন সিডনির কেন্টারবেরি-ব্যাংকসটাউন সিটি কাউন্সিলের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাজমুল হুদা।
অস্ট্রেলিয়ার মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ানদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে তিনি বলেন,
“এটি বাংলাদেশ নয়, এটি একটি মাল্টি-কালচারাল কান্ট্রি। এখানে বাংলাদেশ ছাড়াও দেড় শর উপরে কান্ট্রির লোক বসবাস করে।”
“আমাদের কমিউনিটিকে যদি আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই তাহলে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, আমাদের রিপ্রেজেন্টেশন দরকার। সেটি লোকাল গভার্নমেন্ট হোক, স্টেট গভার্নমেন্ট হোক অথবা ফেডারাল গভার্নমেন্ট হোক।”
“এখানে রাজনীতিটা মেইনলি কমিউনিটিতে কিছু দেওয়ার, কমিউনিটি থেকে কিছু নেওয়ার না।”
“শুধু রাজনীতিতে নয়, আমাদেরকে সকল সেক্টরে থাকা দরকার।”
“আমরা যদি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে চাই তাহলে একটি কথা প্রথমে বুঝতে হবে যে, আমরা সকলে নেতা হবো না। তবে, আমরা কমিউনিটি থেকে নেতা সিলেক্ট করবো। যে সৎ, যে যোগ্য তাকে আমরা এগিয়ে নিব, যেন সে আমাদের কমিউনিটিকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারে, আমাদের ভাবমূর্তি সকলের সামনে উজ্জ্বল করতে পারে।”
“এই পলিটিকাল সিস্টেমটা, এটা শেখার বিষয় এবং ইনস্টিটিউশনালী শিখতে।”
Councillor Mohammad Nazmul Huda of Canterbury Bankstown City Council. Source: Supplied
বাংলাদেশের রাজনীতি অস্ট্রেলিয়ায় করার উপযোগিতা সম্পর্কে কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাজমুল হুদা বলেন, “যৌক্তিকতা রয়েছে এবং সুফলও রয়েছে”।
“আমি মনে করি যে, আমাদের বাংলাদেশের যে ইতিহাস, আমাদের যে সাংস্কৃতিক, আমাদের একুশের চেতনা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং আমাদের যে অরিজিন, বাংলাদেশের, এগুলো আসলে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোই ধরে রাখে।”
“এর মাধ্যমে অ্যাট লিস্ট নতুন প্রজন্মের লোক জানতেছে বাংলাদেশটা কী, বাংলা ভাষাটা কোত্থেকে আসলো, বাংলাদেশের জাতীয় নেতা কারা।”
তিনি আরও বলেন,
“রাজনৈতিক দলের চেয়েও একটা দেশ বড়।”
কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাজমুল হুদার সাক্ষাৎকারটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।