গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- আগ্রাসী ড্রাইভিং এবং রোড রেইজের পেছনে ব্যক্তিগত অথবা বাহ্যিক উভয় কারণই থাকতে পারে
- আপনি যদি কোনও রোড রেইজের শিকার হন তবে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করবেন না
- অন্য ড্রাইভার যদি ভুল করে থাকে তবে ক্রুদ্ধ না হয়ে শান্ত থাকুন
কোনো কারণে রাগান্বিত বোধ করা, বা ক্লান্ত, বিভ্রান্ত অথবা হতাশ বোধ করা খুবই সাধারণ ঘটনা যা সবার সাথেই ঘটে। তবে গাড়ি চালানোর সময় এরকম বোধ করলে তা নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে।
আক্রমণাত্নক বা সমস্যাজনক ড্রাইভিং এর পেছনে মূল কারণ চালকের রাগান্বিত বা হতাশ বোধ করা।
ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডের স্কুল অব সাইকোলজির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর জেমস কারবি রোড রেইজের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন।
Impatient woman gesturing while driving car during rush hour in the city Credit: freemixer/Getty Images
প্রফেসর কারবি অবশ্য বলেছেন যে, এরকমটা সাধারণত হয় আক্রমণাত্নক ড্রাইভিং এর একদম শেষ পর্যায়ে এসে। এবং অনেকেই ক্রোধের বশে ট্রাফিক আইন ভাঙ্গে অথবা মৌখিকভাবে ঝগড়া করে থাকে।
আর নিজের ড্রাইভিং স্কিল সম্পর্কে ভ্রান্ত উচ্চ ধারণা চালকের ক্রোধকে অনিরাপদ ড্রাইভিং-এর দিকে পরিচালিত করে থাকে।
রোড রেইজ আচরণের মধ্যে সাধারণত যেসব আচরণ দেখা যায় সেগুলো হলো, অন্যকে বিরক্ত বা বাধা দেওয়ার জন্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্রেক করা বা হঠাৎ গতি কমিয়ে দেওয়া, অন্য গাড়িকে ধাওয়া করা, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, অন্যান্য চালকদের নিজের পথ থেকে সরে যেতে গাড়ির লাইট বারবার জ্বালিয়ে ও নিবিয়ে সংকেত দেওয়া, এবং টেইলগেটিং করা।
জেমস উইলিয়ামস রয়্যাল অটোমোবাইল ক্লাব অব ভিক্টোরিয়া-র হেড অব পলিসি।
টেইলগেটিং সম্পর্কে পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, কেবল ভিক্টোরিয়া স্টেটেই টেইলগেটিং এর জন্যে প্রায় ২ হাজার চালককে জরিমানা করা হয়।
Angry Middle Eastern man Attacking Another Driver Sitting In Car Credit: DjelicS/Getty Images
উদাহরণস্বরূপ ভিক্টোরিয়া স্টেটে টেইলগেটিং এর অপরাধের জন্যে সাধারণত এক ডিমেরিট পয়েন্ট কাটা হয় এবং ২৪৮ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হয়।
মিস্টার উইলিয়ামস বলেন, কোনো রোড রেইজের ঘটনার সামনে পড়লে সবার আগে নিজের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি।
Road rage in itself is an offence, however actions associated with aggressive driving compromising road safety are penalised. Credit: John W. Banagan/Getty Images
আর কেউ যদি আপনার সাথেই আগ্রাসী ব্যবহার করে থাকে, সেক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে নিজেকে শান্ত রাখা এবং সম্ভব হলে এই পরিস্থিতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া।
এগুলো করার উপায় হচ্ছে অন্য ড্রাইভারকে চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া, নিজে নিরাপদে গাড়ি থামিয়ে অপেক্ষা করা এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
Cyclists and pedestrians are road users who are also potential targets of road rage behaviours. Credit: olaser/Getty Images
ফাইন্ডারের বীমা বিশেষজ্ঞ টিম বেনেট বলেন যে, রোড রেইজের ফলে গাড়ির ক্ষতি হলে সাধারণত বীমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে, এ ক্ষেত্রে সাধারণত দোষী ব্যক্তির বীমা কোম্পানি এই ব্যয় বহন করে থাকে।
কোনো রোড রেইজের ঘটনায় যিনি দোষী সাব্যস্ত হবেন, সাধারণত তার বীমার প্রিমিয়াম বেড়ে যায়।
তবে দুর্ভাগ্যক্রমে, যিনি দোষী নন, তার ক্ষেত্রেও বীমার প্রিমিয়াম বাড়ার ঘটনা ঘটতে পারে।
You can try several strategies as a passenger to calm down the driver amidst a road age incident, but their effectiveness will depend on the nature and quality of your relationship. Credit: PixelsEffect/Getty Images
এসময় কোন কাজটি করা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে, তা সাধারণত নির্ভর করে চালকের সাথে আপনার সম্পর্কের উপর।
প্রফেসর কারবি পরামর্শ দেন,
এ সময় কাম ডাউন বা ‘শান্ত হও’ ধরণের কথা না বলাই ভাল, কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই কথা উলটো প্রতিক্রিয়া নিয়ে আসে।
বরং অন্য কোনো কথা বলে চালকের মনোযোগ সরিয়ে ক্রোধ কমানো যায় কিনা সে-চেষ্টা করা যেতে পারে।
If a person consistently engages in road rage behaviour, psychological therapy can help them deal with the management and expression of their anger, Prof Kirby says. Source: Moment RF / Fiordaliso/Getty Images
সড়কে নিরাপদ ও দায়িত্বশীল ড্রাইভিং এর জন্যে প্রয়োজন সর্বোচ্চ মনোযোগ, ধৈর্য এবং বিবেচনাবোধের সর্বোত্তম স্তরে থাকা।
প্রফেসর কারবি বলেন, নিজে সতর্ক থাকা, অপর চালকের পরিস্থিতি সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করে সহজেই রেগে না যাওয়া সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সঠিক উপায় হতে পারে।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারে ক্লিক করুন
রাস্তায় কোনো ঘটনায় অনিরাপদ বোধ করলে পুলিশে কল করুন
আগ্রাসী আচরণ বা খারাপ ড্রাইভিং রিপোর্ট করতে ক্রাইমস্টপার্সের নম্বরে কল করুন: 1800 333 000.