গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে এই প্রথম ভিক্টোরিয়ায় কোনো সক্রিয় করোনাভাইরাস রোগী নেই। রাজ্যটিতে সর্বশেষ সক্রিয় রোগী ছিলেন ৯০ বছরের কোঠার একজন পুরুষ। সোমবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৫ দিনে ভিক্টোরিয়ায় করোনা-আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয় নি এবং নতুন কোনো সংক্রমণের ঘটনাও সনাক্ত করা হয় নি।
চার মাসেরও বেশি সময় পর গতকাল সোমবার নিউ সাউথ ওয়েলস সীমান্ত পুনরায় উন্মুক্ত করা হয়। ফলে, ভিক্টোরিয়ানরা আন্তঃরাজ্যে তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকা ভালবাসার মানুষ, আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে পুনর্মিলিত হওয়ার সুযোগ লাভ করে।
এ সপ্তাহে ভিক্টোরিয়ায় বড় ধরনের নানা পরিবর্তন কার্যকর করা হচ্ছে। যেমন, বাইরে যাওয়ার সময়ে মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক নয়, যদি না মানুষ নিরাপত্তার সঙ্গে জন-দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়।
তবে, তাদেরকে ইনডোরে অবশ্যই ফেস মাস্ক পরিধান করতে হবে। যেমন, কর্মক্ষেত্রে, সুপারমার্কেটগুলোতে এবং গণ-পরিবহনে। এ ছাড়া, তাদেরকে সবসময় ফেস মাস্ক সঙ্গে রাখতে হবে।
মেলবোর্নের বাসিন্দাদেরকে গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ঘরের বাইরে মাস্ক পরিধান করতে হচ্ছে। আর, এই নিয়ম রিজিওনাল ভিক্টোরিয়ায় বসবাসকারীদের জন্য প্রযোজ্য করা হয়েছে আগস্টের শুরুর দিকে।
সোমবার আনীত পরিবর্তনগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে, ঘরে প্রতিদিন ১৫ জন অতিথি আনা যাবে। এর আগে এই সীমা ছিল সর্বোচ্চ দুই জন। এছাড়া, ঘরের বাইরে, আউটডোরে, গণ-জমায়েতে লোক-সংখ্যা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫০ জন করা হয়েছে।
বিয়ে-শাদী এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় সর্বোচ্চ ১৫০ জন একত্রিত হতে পারবেন।
একই সীমা প্রযোজ্য হবে সিনেমা, গ্যালারি এবং মিউজিয়ামগুলোর ক্ষেত্রে। বড় আকারের অনুষ্ঠানগুলোর আয়োজন করতে হলে অনুমতি গ্রহণ করতে হবে।
বড় রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে এবং পাবগুলোতে ইনডোরে সর্বোচ্চ ১৫০ জন ভোক্তা গ্রহণ করা যাবে। আর, অপেক্ষাকৃত ছোট ভেন্যুগুলোতে এই সীমা হবে সর্বোচ্চ ৫০ জন। কিউ-আর কোড রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে।
জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার জন্য প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ আরও উদ্যোগ নিয়েছেন: ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০ জন দর্শনার্থী ঘরে আনা যাবে। এটা শুধুমাত্র ক্রিসমাসের সময়টির জন্য। আর, ৩০ নভেম্বর থেকে কোনো প্রতিষ্ঠানের ২৫ শতাংশ কর্মী তাদের কর্মক্ষেত্রে গিয়ে কাজ করতে পারবেন।
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ভিক্টোরিয়ায় এ পর্যন্ত মোট ৮১৯ জন মারা গেছেন। পুরো অস্ট্রেলিয়ায় এ সংখ্যা ৯০৭ জন।
অস্ট্রেলিয়ার জনগণকে অবশ্যই পরস্পরের মাঝে কমপক্ষে ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। জন-সমাগমের সীমা সম্পর্কে জানতে আপনার রাজ্যের নিষেধাজ্ঞাগুলো দেখুন।
আপনার মাঝে যদি সর্দি-কাশির (কোল্ড কিংবা ফ্লু) লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে ঘরে অবস্থান করুন এবং আপনার ডাক্তারকে কল করে কিংবা করোনাভাইরাস হেলথ ইনফরমেশন হটলাইন, 1800 020 080 নম্বরে কল করে টেস্টের ব্যবস্থা করুন।
আপনার যদি শ্বাস-কষ্ট কিংবা মেডিকেল ইমার্জেন্সি দেখা দেয়, তাহলে 000 নম্বরে কল করুন।
Please check the relevant guidelines for your state or territory: , , , , , , .