অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্থানের কেমিস্টগুলোতে ২০২০ সালের জন্য ফ্লু ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে।
ফার্মাসিস্ট ড্যানিয়েল কামিংস মেলবোর্নে টেরি হোয়াইট চেমার্টে কাজ করেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই, ওষুধপত্রের নজিরবিহীন চাহিদা দেখা যাচ্ছে।
গত বছর ৩১৩,০০০ এরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এতে মারা যান ৯০০ ব্যক্তি।
অস্ট্রেলিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের নিউ সাউথ ওয়েলস ব্রাঞ্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ড্যানিয়েল ম্যাকমালেন বলেন, একই সময়ে ফ্লু এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া সম্ভব।
সিজনাল ফ্লু ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করেছে ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ। এ পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় সরবরাহ বলে তারা জানিয়েছে।
ছয় মাসের বেশি বয়সী সবাইকে এই প্রতিষেধক গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছে হেলথ ডিপার্টমেন্ট।
তবে স্বাস্থ্য-বিষয়ক গবেষকরা বলেন, অর্ধেকেরও কম অস্ট্রেলিয়ান এই পরামর্শ অনুসরণ করেন।
ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলসের স্কুল অফ পাবলিক হেলথ অ্যান্ড কমিউনিটি মেডিসিনের সিনিয়র লেকচারার হোলি সিল বলেন, প্রতিষেধক গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা শতকরা ৭৫ ভাগ রাখা দরকার।
ফেডারাল সরকারের ন্যাশনাল ইমুনাইজেশন প্রোগ্রামের অধীনে বহু অস্ট্রেলিয়ান বিনামূল্যে ফ্লু ভ্যাকসিন পাওয়ার উপযুক্ত।
কমবয়সী শিশু, গর্ভবতী নারী, ৬৫ বছর বা তারও বেশি বয়সী ব্যক্তি, অ্যাবোরিজিনাল অ্যান্ড টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডাররা এবং যাদের আগে থেকেই মেডিকেল কন্ডিশন রয়েছে যার ফলে ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তারা সবাই বিনামূল্যে ফ্লু ভ্যাকসিন পাওয়ার উপযুক্ত।
বাকি সবাই ফার্মেসি এবং জিপির কাছ থেকে ১০ থেকে ২৫ ডলারের মধ্যে ফ্লু ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে পারবেন।
এদিকে, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য বিশ্বের সবাই অপেক্ষা করছেন। তবে, ড. সিল বলেন, সবচেয়ে ভাল সুরক্ষা বিনা খরচেই পাওয়া যাচ্ছে। তার মতে, হাত ধোয়া, কাশি দেওয়ার সময়ে মুখ ঢাকা ইত্যাদির মাধ্যমে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।