বন্যার পানিতে ডুবে ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে স্থানীয় সূত্রে কুমিল্লা ও কক্সবাজারে আরো পাঁচ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০ আগস্ট থেকে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার ৬৫ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট বন্যায় দেশের ১২টি জেলায় কৃষির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কয়েক দিনে এসব জেলায় দুই লাখ ৩০ হাজার হেক্টর আবাদি জমি আক্রান্ত হয়েছে, যা মোট আবাদি জমির ৩০ শতাংশ। ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষি মন্ত্রণালয় নানান উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। পানি সরে গেলেই ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত হিসাব করে কৃষকদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ ও কৃষি উপকরণ সহায়তা দেওয়া হবে।

People use a raft to go to a safe place after a widespread flash flood in Feni district, Bangladesh, 22 August 2024. According to the Ministry of Disaster Management and Relief during a press conference at the secretariat, at least two people have died in flash floods across the country. EPA/STR Source: AAP / STR/EPA
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, বন্যাকবলিত মানুষের জান-মাল রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা বলেন, দুর্গতদের উদ্ধারে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, ছাত্র-জনতা এবং প্রশাসন কাজ করছে। বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম এবং ত্রাণ বিতরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ত্রিপুরার গোমতী নদীতে ভারতীয় বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার কারণে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় নি বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়,
“আমরা বাংলাদেশে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখেছি যে, ত্রিপুরার গোমতী নদীর উজানে ডাম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তের জেলাগুলোতে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাস্তবে এটি সঠিক নয়।”
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
READ MORE

এসবিএস বাংলা ফেসবুক নীতিমালা
আপনি কি জানেন, এসবিএস বাংলা অনুষ্ঠান এখন ইউটিউব এবং পাওয়া যাচ্ছে। হ্যাঁ, আমরা আমাদের প্লাটফর্ম বিস্তৃত করছি। এসবিএস সাউথ এশিয়ান, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য।
এসবিএস বাংলা টিউন করুন এসবিএস অন ডিমান্ডে সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায়। দক্ষিণ এশীয় অন্যান্য ভাষায় সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলো সরাসরি শুনতেও অন ডিমান্ডে টিউন করুন।
এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুনএসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে। এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে। ভিজিট করুন .
আর, এসবিএস বাংলার এবং ইউটিউবেও পাবেন। ইউটিউবে সাবসক্রাইব করুন চ্যানেল। উপভোগ করুন দক্ষিণ এশীয় ১০টি ভাষায় নানা অনুষ্ঠান। আরও রয়েছে ইংরেজি ভাষায় এসবিএস স্পাইস।