মেলবোর্ন-ভিত্তিক টেইলরিং স্টোর ই-নোলান কখনও আশা করে নি যে, তাদের নিজেদের তৈরি করা মাস্ক এত বেশি সংখ্যায় বিক্রি হবে। এর মালিক এমিলি নোলান মনে করেন, এর মাধ্যমে তাদের ব্যবসা অনেক বেড়েছে।
মাস্ক তৈরি করার প্রথম সপ্তাহে তারা তিন হাজারেরও বেশি মাস্ক বিক্রি করেছে। মিজ নোলান বলেন, এর ফলে অনলাইনে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
অস্ট্রেলিয়া পোস্ট-এর নতুন তথ্য অনুসারে, দেশ জুড়ে অনলাইন শপিং ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
তাদের রিপোর্ট অনুসারে, গত বছরে অনলাইনে ৫০.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে অস্ট্রেলিয়ানরা। আর, গত বছর ১.৩ মিলিয়নেরও বেশি পরিবার প্রথমবারের মতো অনলাইনে কেনাকাটা করেছে।
অস্ট্রেলিয়ান রিটেইলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিইও পল জাহরা বলেন, গত বছর অনলাইন শপিংয়ের প্রবণতা অনেক বেড়েছে।
তবে, অস্ট্রেলিয়ান কমপিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশন ক্রেতাদেরকে মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, তাদের কেনাকাটার অভ্যাসে পরিবর্তন আসলেও তাদের ক্রেতা-অধিকারে কোনো পরিবর্তন আসে নি।
ACCC -এর ডেপুটি চেয়ার ডিলিয়া রিকার্ড বলেন, অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে ক্রেতা-অধিকারে কোনো পরিবর্তন ঘটে না।
মিস্টার জাহরার মতো বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে, অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে বিপ্লব ঘটেছে, তা বজায় থাকবে। এমনকি, কোভিড-স্বাভাবিক অবস্থাতেও এটি বজায় থাকবে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।