মেলবোর্নে একটি দোকান পরিচালনা করেন সিরিয়ান শরণার্থী আকরাম আবু হামদান। প্রতিনিদ তিনি শতশত কাস্টোমার সামলান, তাদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলেন। তবে, তিনি বলেন, ইংরেজিতে তেমন একটা দক্ষ নন তিনি। ইংরেজি শেখার জন্য তেমন একটা সুযোগও মেলে নি তার।
ইংরেজিতে টুকটাক কথাবার্তা বলতে পারলেও এই যৎসামান্য দক্ষতা নিয়ে স্ট্যান্ডার্ড ইংলিশ টেস্ট পার হতে পারবেন না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। আগামী অক্টোবরে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা সিটিজেনশিপ টেস্টে বসবেন।
শুধু আবু হামদানই নন, তার মতো বহু শরণার্থী এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। রিফিউজি কাউন্সিলের সিইও পল পাওয়ার এ সম্পর্কে বলেন, মাইগ্রান্ট কমিউনিটির অনেকেই সিটিজেনশিপ টেস্টের প্রস্তাবিত পরিবর্তন নিয়ে শঙ্কিত।
প্রস্তাবিত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, যদি কোনো আবেদনকারী টেস্টে তিনবার অকৃতকার্য হয়, তাহলে আবার পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য তাকে দু’বছর অপেক্ষা করতে হবে। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ান মূল্যবোধ নিয়ে বেশি প্রশ্ন থাকবে। এ ছাড়া, স্ট্যান্ডার্ড ইংলিশ টেস্টে ভাল ফল করতে হবে।
কয়েকটি নতুন রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ফেডারাল সরকার এই পরিকল্পনা বাতিল করতে পারে।
সরকার এ রকম পদক্ষেপ নিলে লেবার দল তা স্বাগত জানাবে।
শ্যাডো মিনিস্টার ফর হোম অ্যাফেয়ার্স, সিনেটর ক্রিস্টিনা কেনেলি বলেন, এই টেস্টটিতে কোনো প্রয়োজন ছাড়াই ইংরেজি ভাষায় উচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা চাওয়া হয়েছে। আর বৈষম্যমূলকভাবে এর প্রয়োগ করা হয়েছে।
কিন্তু, ইমিগ্রেশন মিনিস্টার ডেভিড কোলম্যান বলেন, সরকার এখনও এই পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে চায়।
এদিকে, রিফিউজি কাউন্সিলের সিইও পল পাওয়ার বলেন, রিফিউজি কাউন্সিলের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, শরণার্থী হিসেবে যারা আসেন, অন্যদের তুলনায় তারাই নাগরিকত্বের জন্য বেশি আবেদন করেন।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।