সিডনিতে দু’টি রেস্টুরেন্ট আছে আইকুট সায়ানের। প্রায় চার মাস লকডাউনের পর তার ব্যবসায়ে প্রাণ ফিরেছে এখন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, মানুষ অনেক খুশি। তারা এখন বাইরে বের হতে চায় এবং আনন্দ উপভোগ করতে চায়।
অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব-উপকূলের অনেক ব্যবসায়ী যেখানে কোভিড-১৯ এর ফলে সৃষ্ট ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব করছেন, সেখানে আইকুট তার ব্যবসা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
READ MORE

নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
রেস্টুরেন্ট-ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য আইকুট ১.৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ-ব্যয় করছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, বেশ কয়েক মাস ব্যবসায়িক মন্দার পর এটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ উদ্যোগ।
৫২ বছর বয়সী এই রেস্টুরেন্ট-ব্যবসায়ী এই গ্রীষ্ম মওসুমে তার ব্যবসায়িক সাফল্য নিয়ে আশাবাদী।
এ সময়ে বেশ কিছু ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং কর্মী-সঙ্কটের কারণে কোনো কোনো ব্যবসা সীমিত সময়ের জন্য পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের জন্য এটাই সুবর্ণ সুযোগ।
ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আইন বিষয়ে পড়াশোনার পর হসপিটালিটি খাতে চলে আসেন আইকুট। এক দশক আগে তিনি তার প্রথম ব্যবসা শুরু করেন।
তার সার্কা এসপ্রেসো কফি-শপটিতে দেখা যায় তুর্কি খাবারের ছড়াছড়ি। এর মাধ্যমে তিনি নিজের সংস্কৃতিকেও তুলে ধরছেন।
তবে, সিরিয়ায় জন্ম-নেওয়া অভিবাসী রাশা আবো আল-শামাট বর্তমান বাজার নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন।
দুই সন্তানের এই মা ২০১৪ সালে তার স্বামীর সঙ্গে সিডনিতে আসেন। এরপর তিনি ছোট আকারে একটি ক্যাটারিং বিজনেস শুরু করেন।
তার এই সিরিয়ান ক্যাটারিংয়ের ব্যবসাটির আরেকজন অংশীদার হলেন সিরিয়ান শরণার্থী নিডাল আলালি। সিডনির লং লকডাউনে তারা হাজার হাজার ডলারের অর্ডার হারিয়েছেন।
READ MORE

অনলাইনে মাইক্রো-বিজনেস চালানোর উপায়
তবে, তাদের ব্যবসা বেঁচে গেছে অনলাইন প্লাটফর্ম ‘ওয়েলকাম মার্চেন্ট’-এর মাধ্যমে।
এ বছর অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্লাটফর্ম ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতীয়ভাবে এগুলোর মূল্যমান প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ডলার।
আর, রাশার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মারজোরি।
ফিলিপিন্সের ম্যানিলা থেকে শৈশবে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন করেন মারজোরি। তিনি সোশাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ল নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
ওয়েলকাম মার্চেন্ট-এর মাধ্যমে তিনি সামাজিক-যোগাযোগ-মাধ্যম এবং বাজারজাতকরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন ও শরণার্থীদের বিভিন্ন ব্যবসা-উদ্যোগগুলোকে টিকে থাকার ক্ষেত্রে সহায়তা করেন।
লকডাউনের স্মৃতি খুব দ্রুতই ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের এই সময়ে আইকুট সায়ানের মতো ব্যবসায়ীরা এই গ্রীষ্মে তাদের ব্যবসায়িক সাফলের জন্য আশাবাদী।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।