গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো
- ডে-কেয়ার কেন্দ্রে শিশুদের বিচরণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
- বেশিরভাগ অসুস্থতা চাইল্ড কেয়ার সেটিংয়ে খুব বেশি উদ্বেগের কারণ হয় না, তবে কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর সংক্রমন হতে পারে।
- তবে চিকিৎসকরা বলেন যে এই সংক্রমণগুলি নির্দিষ্ট চিকিৎসা ছাড়াই কমে যায়।
- কর্মদিবসের মাঝখানে তাদের অসুস্থ সন্তানকে চাইল্ড কেয়ার সেন্টার থেকে নিতে বলা বাবা-মায়ের জন্য হতাশাজনক হতে পারে।
অভিবাসীদের প্রায়ই পারিবারিক সহায়তার অভাব হয়, তারা কাজ করার সময় তাদের সন্তানদের যত্ন নেওয়ার জন্য পিতামাতার উপর নির্ভর করতে পারে না।
প্রাথমিক শৈশব শিক্ষা বা আর্লি চাইল্ডহুড এডুকেশন এই ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে, এবং অস্ট্রেলিয়ায় এটি সুপারিশ করা হয় কারণ এটি পিতামাতাদের কর্ম ক্ষেত্রে ফিরে যেতে সাহায্য করে।
ডে-কেয়ার কেন্দ্রে শিশুদের তালিকাভুক্ত করাও একটি জনপ্রিয় বিকল্প, যা শিশু এবং ছোট বাচ্চাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
উপরন্তু, প্রাথমিক শৈশব শিক্ষা তাদের সামাজিক এবং একাডেমিকভাবে স্কুলের জন্য প্রস্তুত করে।

Doctors often recommend that most infections will subside without specific medical treatment. Credit: The Good Brigade/Getty Images
জ্যোতি সান্ধু মেলবোর্নের একজন আর্লি চাইল্ডহুড এডুকেটর।
তিনি বলেন, ভর্তির আগে অভিভাবকদের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করার জন্য একটি ওরিয়েন্টেশন সেশন দেওয়া হয়।
তিনি বলেন যে বেশিরভাগ অসুস্থতা চাইল্ড কেয়ার সেটিংয়ে খুব বেশি উদ্বেগের কারণ হয় না, তবে কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর সংক্রমন হতে পারে।
১০০ জনের মধ্যে ২০/৩০ জন শিশু যারা ডে-কেয়ারে যায় তারা অনেক সময় এই সংক্রমণের সম্মুখীন হয়। তবে এই সংক্রমণগুলি নির্দিষ্ট চিকিৎসা ছাড়াই কমে যায়।ডাঃ আমির সাইদুল্লাহ, জিপি, মেলবোর্ন
ডাঃ আমির সাইদুল্লাহ, মেলবোর্নের একজন জিপি, তিনি ডে কেয়ারে থাকা সংক্রমণের জন্য ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের চিকিৎসা করেন।
ডাঃ সাইদুল্লাহর মতে, ১০০ জনের মধ্যে ২০/৩০ জন শিশু যারা ডে-কেয়ারে যায় তারা অনেক সময় এই সংক্রমণের সম্মুখীন হয়।
তবে চিকিৎসকরা বলেন যে এই সংক্রমণগুলি নির্দিষ্ট চিকিৎসা ছাড়াই কমে যায়।

New migrants often face extra challenges when their child becomes ill, due to lack of support network. Credit: MoMo Productions/Getty Images
নিকিতা বলছেন যে এই ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
তিনি বলছেন, "আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটি হল চাইল্ড কেয়ার সেন্টার থেকে বাচ্চাকে নিতে ঘন ঘন কল পাওয়া, এমনকি যদি তাদের কেবল নাক দিয়ে পানিও পড়ে তার জন্যও, অথচ এটি ঠান্ডা আবহাওয়ায় সাধারণ ঘটনা। এর মানে, ডাক্তারের ছাড়পত্র না দেওয়া পর্যন্ত তাকে ফেরত পাঠানো যাবে না।"
কর্মদিবসের মাঝখানে তাদের অসুস্থ সন্তানকে চাইল্ড কেয়ার সেন্টার থেকে নিতে বলা বাবা-মায়ের জন্য হতাশাজনক হতে পারে।
যদি একটি শিশু ঘন ঘন অসুস্থ হয়, তাহলে নিয়োগকর্তার কাছ থেকে ছুটি চাওয়া বা ব্যবসার ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতি বাবা-মাকে উদ্বিগ্ন করতে পারে।
এছাড়াও, নিকিতা বলেছেন যে অসুস্থতার কারণে শিশুরা উপস্থিত হতে না পারলেও তাদের অবশ্যই চাইল্ড কেয়ার ফি দিয়ে যেতে হবে।

Frequent handwashing and keeping a safe distance from a child suffering from flu or gastro is advised. Credit: Maskot/Getty Images/Maskot
তবে যদি সংক্রমণের অন্যান্য লক্ষণ থাকে, যেমন, জ্বর, কাশি বা গলা ব্যথা, বা যদি শিশুটিকে দৃশ্যত ভাল দেখাচ্ছে না, তবে আমি শিশুটিকে বাড়িতে ফেরত পাঠানোর সমর্থন করব।"
তিনি সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষণগুলি তুলে ধরে বলেন, প্রত্যেক জিপিকে অবশ্যই কিছু বিষয় দেখতে হয়। যেমন, উচ্চ তাপমাত্রা (প্রায় ৩৯ - ৪০ ডিগ্রি সে.), নাক দিয়ে পানি পড়া এবং সেইসাথে তরল গ্রহণ কমে যাওয়া, ডায়রিয়া, বমি বা নতুন ফুসকুড়ি ওঠা।
মিজ সান্ধু ব্যাখ্যা করে বলেন কেন একটি অসুস্থ শিশুকে বাড়িতে থাকতে হবে।
তিনি বলেন যে একটি চাইল্ড কেয়ার সেন্টার থেকে কোন অসুস্থ শিশুকে নিয়ে যেতে বলা হয় কারণ এটি অন্যান্য শিশুদের প্রতি তাদের 'ডিউটি অফ কেয়ার'-এর প্রধান বিষয়।
শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পার্ক এবং খেলার মাঠের মতো প্রাকৃতিক পরিবেশের সংস্পর্শে আসতে হবে।জ্যোতি সান্ধু, আর্লি চাইল্ডহুড এডুকেটর, মেলবোর্ন
এ ক্ষেত্রে ঘন ঘন হাত ধুতে বলা হয় এবং ফ্লু বা গ্যাস্ট্রোতে আক্রান্ত শিশু থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ডাঃ সাইদুল্লাহ বলেন যে শিশুদের ভাল পুষ্টিকর খাবার দেয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি দৃঢ়ভাবে ছোট বাচ্চাদের এবং তাদের আশেপাশের লোকদের মধ্যে সংক্রমণ-নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হিসাবে শৈশবকালীন টিকা দেওয়ার সুপারিশ করেন।
মিজ সান্ধু ব্যাখ্যা করে বলেন যে অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ আর্লি চাইল্ডহুড সেন্টারগুলো ফেডারেল সরকার কর্তৃক নির্ধারিত টিকাকে সমর্থন করে।
অবশেষে, মিজ সান্ধু সুপারিশ করেন যে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পার্ক এবং খেলার মাঠের মতো প্রাকৃতিক পরিবেশের সংস্পর্শে আসতে হবে।
পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা অডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত।
আরও দেখুন

অস্ট্রেলিয়ার চাইল্ডকেয়ার পরিষেবা পরিচিতি