আটক কেন্দ্র থেকে আরো শরণার্থীর মুক্তি পেলো।
মুক্তির দিনে শরণার্থী সমর্থকগোষ্ঠী মেলবোর্ন হোটেল ঘেরাও করে শ্লোগান দিচ্ছিলো, "জোরে বলো, স্পষ্ট করে বলো, এখানে শরণার্থীদের স্বাগতম।"
শরণার্থীরা যখন অবশেষে মুক্তি পেলো সেটি যেন ছিল এক অভূতপূর্ব দৃশ্য, গত বুধবার ২০ জনেরও বেশি হোটেল ছেড়ে গেছে এবং বৃহস্পতিবার আরো অনেকের ছাড়া পাওয়ার কথা রয়েছে।
লিক জাহ্সীন এই সমর্থকদের একজন যারা এই মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছিলো।
তিনি বলেন,"ওদের আমরা আলিঙ্গন করবো, এটা খুবই আনন্দের।"
এই ব্যক্তিদের ম্যানাস আইল্যান্ড এবং নাউরুর অফশোর প্রসেসিং সেন্টার থেকে অস্ট্রেলিয়াতে আনা হয়েছিল স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য অধুনালুপ্ত মেডেভ্যাক আইনের আওতায়।
ইন্ডিজিনাস ভিক্টোরিয়ান সিনেটর লিডিয়া থর্প বলেন, আশ্রয় খোঁজা মানুষদের সাথে অন্যায্য আচরণ বন্ধ করা উচিত এখন।
ব্রিসবেনের ক্যাঙ্গারু পয়েন্টে প্রায় ৯০ জন আটক আছেন, এবং মেলবোর্নে আছেন এখনো এক ডজনেরও বেশি।
২৫ বছর বয়স্ক ডন খান তার জীবনের এক তৃতীয়াংশ সময় ডিটেনশনে ছিলেন।
তিনি বলেন, "আমি ঘুমাতে পারি না, আমার পরিস্থিতি খুবই খারাপ।"
দ্য রিফিউজি অ্যাকশন কোয়ালিশন হোটেলে থাকা ব্যক্তিদের মানসিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন, ওই ব্যক্তিরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে।
ফেডারেল হোম অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার পিটার ডাটন টুজিবি'কে বলেন যাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে তারা কমিউনিটির জন্য হুমকি নয়, এই বিষয়টি মূল্যায়ন করা হয়েছে।
এই ব্যক্তিদের অস্থায়ী ব্রিজিং ভিসা দেয়া হয়েছে, তারা হয় যুক্তরাষ্ট্রে আবার বসতি গড়বে, অথবা নাউরু বা পাপুয়া নিউ গিনি বা তাদের নিজ দেশে ফিরে যাবে।
রিফিউজি এডভোকেটরা এই ব্যক্তিদের অবস্থা নাজুক বলে উদ্বিগ্ন, এদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের অনেকের জটিল স্বাস্থ্যসেবার কি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
সংস্থাটি বলেছে যে তারা নির্বিচারে আটকে রাখা শরণার্থীদের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে।
আরো দেখুনঃ