শুল্ক আরোপ করার আগে, ইউ-এস প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থোনি আলবানিজির সাথে কথা বলার পরে শুল্কছাড়ের কথা বিবেচনা করছেন।
কিন্তু আপাতত, শুল্ক অস্ট্রেলিয়ান শিল্পের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ট্যারিফ আসলে কী ?
ট্রাম্প বলছেন, "এটি অভিধানের সবচেয়ে সুন্দর শব্দগুলির মধ্যে একটি।"
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সরকার এবং শিল্পগুলো এটা মানে না।
মঙ্গলবার সকালে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সমস্ত আমদানিকৃত ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন কারণ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পকে অগ্রাধিকার দিতে চান।
এজন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থোনি আলবানিজির সাথে শেষ মুহূর্তের আলাপ চালিয়েছিলেন যাতে এই বিরাট শুল্ক থেকে দেশের ইস্পাত শিল্পকে বাঁচানো যায়।
আলবানিজি বলছেন, "ইউ-এস প্রেসিডেন্ট সম্মত হয়েছেন যে আমাদের উভয় দেশের স্বার্থে এজন্য শুল্ক অব্যাহতি বিবেচনা করবেন।"
এর কিছুক্ষণ পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন।
অস্ট্রেলিয়া কোনো ছাড় পেল না।
এই ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসার জন্য উদ্বেগজনক খবর, অস্ট্রেলিয়ার মিনারেলস কাউন্সিল বলেছে যে শুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
আরও শুনুন
![bangla_Trump Australia relation_220125 image](https://images.sbs.com.au/dims4/default/70e16cc/2147483647/strip/true/crop/5903x3320+0+307/resize/1280x720!/quality/90/?url=http%3A%2F%2Fsbs-au-brightspot.s3.amazonaws.com%2F24%2F72%2F97bca5a54db7a99d404ade7685b8%2F20250122115023970790-original.jpg&imwidth=600)
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে বড় পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; অস্ট্রেলিয়ায় এর প্রভাব কী হতে পারে?
SBS Bangla
22/01/202508:35
শীর্ষ শিল্প সংস্থাটি বলেছে যে তারা ঝুঁকি এবং প্রভাবগুলি মূল্যায়নের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য ও বৈদেশিক বিষয়ক বিভাগের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
অস্ট্রেলিয়ান ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ইনেস উইলোক্স ট্রাম্পের শুল্ককে "মুখে চড়" বলে অভিহিত করেছেন।
ম্যালকম টার্নবুল প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মিঃ ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে একই ধরনের শুল্ক প্রবর্তন করার আগে অস্ট্রেলিয়া ছাড় পেয়েছিল।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে মিঃ আলবানিজির আলাপের আগে, মিঃ টার্নবুল এবিসিকে বলেছিলেন যে এইরকম অব্যাহতি এই সময়ে পাওয়া সম্ভব হবে না।
তবে ক্যানবেরা অব্যাহতভাবে শুল্ক অব্যাহতির জন্য চাপ দিতে থাকে, এর একটি প্রধান কারণ হচ্ছে: অস্ট্রেলিয়ার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে।
তার মানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্য ও পরিষেবার মূল্য আমাদের রপ্তানির চেয়ে বেশি।
ডনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি একটি ভাল ব্যাপার।
তিনি প্রধানমন্ত্রী আলবানিজির সাথে কথা বলার পর তাদের বাণিজ্য উদ্বৃত্তের কথা সবই স্বীকার করলেন।
কতটা ক্ষতির মুখে অস্ট্রেলিয়া?
ইতিমধ্যে, শিল্প গ্রুপগুলি সতর্ক করে বলেছে যে ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর শুল্ক শিল্প উত্পাদনের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং এর বাইরেও, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি এবং উন্নত উত্পাদন সরবরাহ চেইনেও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷
সম্ভবত চীনের উপর নির্ভরশীলতার প্রভাব আরও অনুবর্তী হবে - এখনও পর্যন্ত চীন অস্ট্রেলিয়ান লোহা আকরিকের জন্য সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার, লোহা ইস্পাত তৈরিতে ব্যবহৃত হয় - এবং ফেডারেল বাজেটের জন্য রাজস্বের একটি প্রধান উৎস৷
আরও শুনুন
![Bangla_trump tarrif_040225_ML image](https://images.sbs.com.au/dims4/default/419e857/2147483647/strip/true/crop/3000x1688+0+290/resize/1280x720!/quality/90/?url=http%3A%2F%2Fsbs-au-brightspot.s3.amazonaws.com%2F38%2F2e%2F0f3ad2e1452587dc251b61773120%2Fliquor-store-employee-demonstrates-removing-bottles-of-american-whiskey-for-media-before-a-news-conference-in-vancouver-b-c-sunday-feb-2-2025-ap.jpg&imwidth=600)
মেক্সিকো, কানাডা এবং চীনের পণ্যের উপর ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক আরোপ, নিজেদের বিষয়ে কী ভাবনা অস্ট্রেলিয়ার?
SBS Bangla
05/02/202510:17
মিঃ ট্রাম্প ইতিমধ্যে এই মাসের শুরুতে চীন থেকে আমদানির উপর একটি পৃথক ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন।
কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে, মিঃ ট্রাম্প পিছু হটেছেন এবং দর কষাকষির হাতিয়ার হিসাবে শুল্ককে ব্যবহার করেছেন।
তিনি কানাডা এবং মেক্সিকোতে ২৫ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলেন তবে প্রতিবেশী দেশগুলি অনিয়মিত অভিবাসন মোকাবেলায় আরও কিছু করতে সম্মত হওয়ার পরে তা স্থগিত রেখেছেন।
এক্ষেত্রে এন্থোনি আলবানিজির "বিশেষ বিবেচনার" প্রতিশ্রুতির বিষয়টি অস্ট্রেলিয়াকে আশা দিতে পারে।
তবুও, এই অব্যাহতি সুরক্ষিত করতে কিছু সময় লাগতে পারে।
টার্নবুল সরকারের সময় প্রথম মেয়াদের ট্রাম্প প্রশাসন থেকে শুল্ক ছাড় পেতে বেশ কয়েক মাস লেগেছিল।
বিরোধীদলীয় নেতা পিটার ডাটন নিশ্চিত করেছেন যে তিনি এটিকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন, বলেছেন মিঃ ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়া জোটের জন্য ক্ষতিকর ঝুঁকি তৈরী করবে।
প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত করেছেন তার সরকার ইতিবাচক ফলাফল পেতে পারে, তার প্রমাণ হিসাবে অস্ট্রেলিয়ান পণ্যের উপর চীনা শুল্ক মুক্ত করতে লেবারের সাফল্যের কথা বলেছেন।
সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ মিত্রের সাথে একটি সূক্ষ্ম, কূটনৈতিক নৃত্যে অংশ নিতে হলে খুব সাবধানে পা ফেলতে হবে, যেখানে ভুল করার জায়গা খুব কম।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলা এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেলের অংশ।
এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুন প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে। এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে। ভিজিট করুন