ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর এই প্রবৃদ্ধির পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রিমিয়াম বৃদ্ধি, তুলনামূলক শান্ত আবহাওয়া এবং বিনিয়োগ বাজারের ইতিবাচক প্রবণতা।
২০২৪ সালে গড় গ্রাহককে তার আগের বছরের তুলনায় ১৯.৩% বেশি ঘরবাড়ির ইনস্যুরেন্স এবং ১২% বেশি গাড়ির ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম দিতে হয়েছে।
তাহলে মুনাফা বাড়লেও প্রিমিয়াম কেন কমছে না?
ভোক্তা অধিকার সংগঠন চয়েস (Choice)-এর বিশ্লেষক মার্ক ব্লেডস বলছেন, “কোম্পানিগুলো প্রায়ই প্রিমিয়াম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বাইরের জিনিসপত্র—যেমন বৈশ্বিক সরবরাহ সংকট বা আমদানিকৃত যন্ত্রাংশের দামে ওঠানামা—দেখায়। তবে ভোক্তাদের উচিত প্রতিবছর বাজার যাচাই করে বিকল্প খোঁজা।”
জুলিয়া ডেভিস, ফিনান্সিয়াল রাইটস লিগ্যাল সেন্টারের একজন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ইন্সুরেন্স এই মূল্য বৃদ্ধি অস্বচ্ছ ও জটিল।
“ইনস্যুরেন্স প্রাইসিং একেবারেই অস্বচ্ছ। আপনার প্রিমিয়াম হঠাৎ দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে—কিন্তু কেন? নতুন কোনো বন্যা এসেছে? আপনার বাড়ির ঝুঁকি কি বেড়েছে? কেউ বলে না।”
তিনি মনে করেন, বড় মুনাফার উৎস শুধু হোম বা কনটেন্ট ইনস্যুরেন্স নয়, বরং সাইবার, লাইবিলিটি ও বাণিজ্যিক ইনস্যুরেন্সেও বিপুল লাভ হচ্ছে।
মার্ক ব্লেডস বলেন, আইনের ফাঁকফোকর ও সরকারের ভূমিকা না থাকায় গ্রাহকরা বেশি প্রিমিয়াম দিচ্ছেন।
মার্ক ব্লেডস বলেন, অনেক ইনস্যুরেন্স কোম্পানি আইনের ফাঁক গলে প্রিমিয়াম বাড়ানোর পথ খুঁজে পায়।
স্বাস্থ্য ইনস্যুরেন্সেও এমন কিছু ঘটছে, যেখানে সরকার ভর্তুকি দিলেও গ্রাহকরা প্রকৃতপক্ষে আরও বেশি টাকা দিচ্ছেন।
ক্লাইমেট কাউন্সিল (Climate Council)-এর নতুন রিপোর্ট "এট আওয়ার ফ্রন্ট ডোর ( At Our Front Door)" বলছে, জলবায়ু দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোর প্রিমিয়াম আরও বাড়বে।
২০২৪ সালে মাত্র ২টি বড় আবহাওয়াজনিত ঘটনা ঘটলেও, ২০২৩ সালের তুলনায় ক্ষতিপূরণ দাবি অনেক কমেছে:
২০২৪: ৪৯,০০০ ক্লেইমে ৫৬৬ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি
২০২৩: ১,৪৩,৯০০ ক্লেইমে ২.৩৫৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি
এন্ড্রু হল ইনস্যুরেন্স কাউন্সিল অফ অস্ট্রেলিয়ার সিইও।
তিনি বলেন, “বন্যাপ্রবণ এলাকায় ঘরবাড়ি তৈরি করলেই ভবিষ্যতে ইনস্যুরেন্স খরচ বাড়তেই থাকবে। তাই নিরাপদ স্থানে আবাসন পরিকল্পনা করতে হবে।”
এদিকে ব্লেডস বলছেন, ইন্সুরেন্স কিনতে অন্যান্য বিকল্পগুলো যাচাই করুন।
জুলিয়া ডেভিস বলেন, আরও নজরদারির দাবি করেন।
তিনি বলেন, “আমরা সরকারের কাছে জাতীয় ইনস্যুরেন্স মূল্য তদারকি সংস্থা গঠনের দাবি জানিয়ে আসছি। এই খাতটি জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ।”
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন
পাওয়া যাচ্ছে?
এসবিএস বাংলা এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেলের অংশ।
এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুন প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে। এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে। ভিজিট করুন
আর, এসবিএস বাংলার এবং ইউটিউবেও পাবেন। ইউটিউবে সাবসক্রাইব করুন চ্যানেল। উপভোগ করুন দক্ষিণ এশীয় ১০টি ভাষায় নানা অনুষ্ঠান। আরও রয়েছে ইংরেজি ভাষায়