এসবিএস বাংলার সঙ্গে সঙ্গীত-শিল্পী আখতার জাহানের সাক্ষাৎকারের প্রথম দু’টি পর্বে ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পর্যন্ত তার নানা অভিজ্ঞতার কথা।
তৃতীয় পর্বে রয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে অভিবাসনের পর সঙ্গীত-চর্চা চালিয়ে যাওয়া-সহ অ্যাডিলেইডে বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর বিকাশ নিয়ে কিছু স্মৃতিচারণ।
READ MORE

নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
আখতার জাহান বলেন,
“এখানে যখন ছিলাম, যুদ্ধের আগে অনেক রিল-ট্রিল রেকর্ডিং ছিল। যেগুলি আর্মি নষ্ট করে ফেলেছে। তারপরে একটা সিঙ্গেল ই-এম-আই থেকে বেরিয়েছিল, নজরুল গীতির।”
অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘদিন তিনি সাইকোলজিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন এবং এর পাশাপাশি সঙ্গীত-চর্চা চালিয়ে গেছেন।
“তারপরে, এখানে এই কাজের মধ্যে, ফুলটাইম, সাইকোলজির কাজ খুব কঠিন ব্যাপার।”
“তো, তার মধ্যেও আমি মাঝে মাঝে রেকর্ডিং করার চেষ্টা করতাম। ঢাকায় যখনই যেতাম রেকর্ডিং করিয়ে নিয়ে আসতাম।”

আখতার জাহান বলেন, “এখানে (অস্ট্রেলিয়ায়) এই কাজের মধ্যে, ফুলটাইম, সাইকোলজির কাজ খুব কঠিন ব্যাপার। তো, তার মধ্যেও আমি মাঝে মাঝে রেকর্ডিং করার চেষ্টা করতাম। ঢাকায় যখনই যেতাম রেকর্ডিং করিয়ে নিয়ে আসতাম।” Credit: Akhter Jahan
“কিন্তু, এখানে তখনকার দিনে স্টুডিও ইঞ্জিনিয়াররা জানতোই না আমাদের গান কীভাবে মিক্স করতে হয়।”
“তারপর, আস্তে আস্তে আমি গানের দল শুরু করলাম। একটা কমিটিতেও যোগ দিলাম, যেটার নাম হলো মাল্টিকালচারাল আর্ট-ওয়ার্কার্স কমিটি।”
“আমি যখন ঐ মাল্টিকালচারাল আর্ট-ওয়ার্কার্স কমিটি থেকে আমরা প্রোগ্রাম শুরু করলাম, তখন রেডিওর এক প্রডিউসার এসেছিলেন। তখন এসে আমাকে বললেন, এক ঘণ্টার একটা রেকর্ডিং তোমার করতে হবে। এইভাবে, আস্তে আস্তে শুরু হলো। তখন আমি মিউজিশিয়ান যোগাড় করার চেষ্টা করলাম। আরও মাল্টিকালচারালরা এসেছে। ওদেরকে আমি শেখানো আরম্ভ করলাম। যারা বাংলা গান জানে না, কোনোদিন শোনে নাই, তাদেরকে শেখানো একটা বিরাট ব্যাপার।”
“আস্তে আস্তে, রেকর্ডিং করে করে একটা স্টুডিও পেলাম, সেখানে আমি ফাইনাল সাতটা রেকর্ডিং করতে পারলাম, কমপ্লিট করতে পারলাম। তারপর সেটা ওম-অ্যাডে পাঠালাম। ওম-অ্যাডিলেইড (Womadelaide) ইয়ারলি অ্যাডিলেইডের ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল। সেখানে পাঠালাম। ওরা বলে, তোমাকে নেকস্ট ইয়ার চাই আমরা।”
এটা ২০০৪ সালের ঘটনা। তখন তিনি চাকুরি ছেড়ে দিয়ে গানের প্রতি পরিপূর্ণ মনোনিবেশ করেন।
“তার আগে, ১৯৯০ সালে ঢাকা গিয়ে একটা এলপি বের করেছিলাম। আজাদ সাহেবের তত্ত্বাবধানে। সব মিলিয়ে আখতার জাহানের পাঁচটি সিডি বেরিয়েছে।
সঙ্গীত-শিল্পী আখতার জাহান রহমানের সাক্ষাৎকারের তৃতীয় পর্বটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: