সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার নিয়ম করেছে যে, বিদেশগামী বাংলাদেশী যাত্রীদেরকে অবশ্যই ভ্রমণের আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে।
২০ জুলাই থেকে ঢাকায় তিনটি ও ঢাকার বাইরে ১৩ টি জেলায় সর্বমোট ১৬ টি সরকারি হাসপাতাল অথবা প্রতিষ্ঠানে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হবে। প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদেরকে যাত্রার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নমুনা দিতে হবে, এর আগে নমুনা সংগ্রহ করা হবে না।আর, পরীক্ষার ফি হিসেবে প্রত্যেক যাত্রীকে সরকার নির্ধারিত হারে টাকা জমা দিতে হবে। ল্যাবে গিয়ে নমুনা প্রদানের ক্ষেত্রে ৩৫০০ টাকা এবং বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহে ৪৫০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। নমুনা প্রদানের পর থেকে যাত্রার সময় পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আবশ্যিকভাবে আইসোলেশনে থাকবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে রিপোর্ট প্রদান করা হবে।
Source: Bangladesh Government
এতে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের বিষয়ে কিছু বলা হয় নি। এদিকে, বিদেশগামী ব্যক্তিরা কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। যাত্রার মাত্র তিন দিনের মধ্যে এসব করতে গিয়ে তাদেরকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এর আগে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত ১২ জুলাই ২০২০ একটি বলা হয়, “বিদেশ গমনকারী সকল বাংলাদেশিকে এখন থেকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে গমন করতে হবে। সরকার অনুমোদিত করোনা টেস্টিং সেন্টার থেকে করোনা পরীক্ষা করে এ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা যাবে।”
এদিকে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ গত শনিবার, ১৮ জুলাই এক জানায়, ২৩ জুলাই থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের বিদেশ গমনে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক।
আর, বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ গতকাল বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০ আরেকটি জানিয়েছে, বিদেশী পাসপোর্টধারী যারা বাংলাদেশের যে কোনো এয়ারপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশে যেতে চান, তাদেরকেও কোভিড-১৯ টেস্ট সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। এই আদেশ কার্যকর হবে ২৬ জুলাই ২০২০ থেকে। ব্যতিক্রম হিসেবে এক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়েছে:
- কূটনীতিবিদ, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এবং এগুলোর সহযোগী সংস্থাগুলোর সদস্য, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রধান এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা; এবং
- বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং সেই সব বিদেশী পাসপোর্টধারী যারা ১৪ দিনের কম সময়ের জন্য বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন।
এছাড়া, ১০ বছরের কম বয়সীদের জন্য কোভিড-১৯ টেস্ট সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক নয়।