গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো
- অক্সফ্যাম মোনাশ ইউনিভার্সিটির সাথে প্রায় ১৫ বছর ধরে এই প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করছে।
- বাংলাদেশের জেলে, গৃহকর্মী এবং নারী উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল সুবিধার আওতায় আনা এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
- নানান সামাজিক ইস্যুর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে গবেষণার জন্য গণ্য করা হচ্ছে 'লীভিং ল্যাবরেটরী' হিসেবে।
মোনাশ ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ হিউম্যান সেন্টার্ড কম্পিউটিং-এর রিসার্চ ফেলো ডঃ খালিদ হোসেন এবং অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশীষ দামলে এসবিএস বাংলার সাথে কথা বলেছেন তাদের প্রকল্প সম্পর্কে।
এখানে সাক্ষাৎকারটির ১ম পর্ব প্রকাশিত হলো।
পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ওনারশিপ উইথ টেকনোলজি, ইনফরমেশন এন্ড চেঞ্জ বা 'প্রতিক (PROTIC)' প্রকল্পটি মোনাশ ইউনিভার্সিটির আইটি ফ্যাকাল্টি এবং অক্সফ্যামের অংশীদারিত্বে গঠিত হয়েছে।
অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশীষ দামলে বলেন, "অক্সফ্যাম মোনাশ ইউনিভার্সিটির সাথে প্রায় ১৫ বছর ধরে এই প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করছে।
"কিভাবে ডিজিটাল স্পেস, প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা যায়, এটা নিয়েই কাজ করছি। এর মধ্যে 'প্রতিক ১' শেষ করে দ্বিতীয় পর্বের কাজ চলছে।"
Mr Ashish Damle is the Country Director of Oxfam Bangladesh. Credit: Ashish Damle
মি. দামলে যেসব কমিউনিটিকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে যেমন বাংলাদেশের কৃষক, মৎস্যজীবী, গৃহকর্মী এবং নারী উদ্যোক্তা, তাদের প্রসঙ্গে বলেন, এই গোষ্ঠীটির কাছে তথ্য সরবরাহ, স্মার্টফোন ব্যবহার ছাড়াই সাধারণ ফোন দিয়ে যোগাযোগ স্থাপন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা, সাইক্লোনের সময়ে স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে যোগাযোগ করা, গৃহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা ইত্যাদি।
আরও শুনুন
“বাংলাদেশের জাতীয় তথ্য প্রযুক্তি নীতিমালা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ডিজিটাল সুবিধা পৌঁছে দিতে পারেনি”
SBS Bangla
20/09/202008:12
"এ বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে যেসব প্রযুক্তির দরকার, তার জন্য গবেষণা, নিরীক্ষা, মাঠ পর্যায়ে কাজ করা এসবই মোনাশ ইউনিভার্সিটির সাথে প্রায় ১৫ বছর ধরে আমরা কাজ করছি," বলেন তিনি।
আগামীতে এই প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে এই কমিউনিটিগুলোর ভবিষ্যৎ প্রান্তিকতা রোধ করতে সাংস্কৃতিকভাবে সংবেদনশীল কৌশল অবলম্বন করা।
মোনাশ ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ হিউম্যান সেন্টার্ড কম্পিউটিং-এর রিসার্চ ফেলো ডঃ খালিদ হোসেন মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অক্সফামের এই প্রজেক্টের বিষয়ে বলেন, একটি শীর্ষস্থানীয় ইউনিভার্সিটি হিসেবে মোনাশ তাদের কার্যক্রমে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় গবেষণাগুলোর প্রভাব যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে দৃশ্যমান থাকে।
Dr Khalid Hossain is a Research Fellow of Monash University's Department of Human Centered Computing of Faculty of Information Technology. Credit: Arif Faisal Shaon
"এবং সেখানে জিও-পলিটিক্যাল সিকিউরিটি, ক্লাইমেট চেঞ্জ, কমিউনিটির সমৃদ্ধি ইত্যাদি এসব বিষয়গুলো আমরা অন্তর্ভুক্ত করেছি।"
এই প্রজেক্টে বাংলাদেশকে যুক্ত করার বিষয়ে ডঃ খালিদ হোসেন বলেন, "এসব পরিপ্রেক্ষিত থেকে আমরা যেটা দেখেছি বাংলাদেশ হচ্ছে এমন একটা কনটেক্সট যাকে আমরা গবেষণার প্রেক্ষিতে 'লীভিং ল্যাবরেটরী' বলি।
আরও শুনুন
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ত সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া
SBS Bangla
21/03/202212:06
"বাংলাদেশের জিও-পলিটিক্যাল সিকিউরিটির ক্ষেত্রে শরণার্থী সংকট আছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবচেয়ে নাজুক দেশগুলোর একটি, কমিউনিটিতে সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠী থাকলেও দেশটি মধ্য আয়ের দিকে দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে - তাই বাংলাদেশে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করার অসংখ্য সুযোগ আছে," বলেন তিনি।
ডঃ খালিদ হোসেন মনে করেন, 'ডিজিটাল বাংলাদেশের' পর 'স্মার্ট বাংলাদেশের' ধারণা, যার মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশনের দিকে যাত্রা যা বর্তমান সরকারের লক্ষ্য, সেখানে অনেক অন্তর্ভুক্তিমূলক কাজের সুযোগ আছে।
" অর্থ্যাৎ, বাংলাদেশ এমন একটা জায়গা যেখানে মোনাশ ইউনিভার্সিটির মত প্রতিষ্ঠানগুলো কমিউনিটিতে প্রভাব রাখতে পারবে এমন গবেষণার সব উপাদানই বাংলাদেশে পাবে," বলেন তিনি।
ডঃ খালিদ হোসেন এবং আশীষ দামলের সাথে সাক্ষাৎকারটির ১ম পর্ব শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
এসবিএস রেডিও সম্প্রচার-সূচী হালনাগাদ করেছে, এখন থেকে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার, বিকাল ৩টায়, এসবিএস পপদেশীতে আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন, লাইভ।
কিংবা, পুরনো সময়সূচীতেও আপনি আমাদের অনুষ্ঠান শোনা চালিয়ে যেতে পারেন। প্রতি সোম ও শনিবার, সন্ধ্যা ৬টায়, এসবিএস-২ এ।