সম্পূর্ণ টিকা নেয়া ভ্রমণকারীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত খুলছে

International travel will resume on February 21, after nearly two years of border closures.

International travel will resume on February 21, after nearly two years of border closures. Source: AAP Image/Morgan Sette

ফেডারেল সরকার ঘোষণা করেছে যে ২১শে ফেব্রুয়ারী থেকে অস্ট্রেলিয়ার সীমানা পুরো টিকা নেয়া আন্তর্জাতিক পর্যটক-ভ্রমণকারীদের জন্য উন্মুক্ত হবে।


গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো

  • অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে ভ্রমণকারীর অন্তত দুটি টিকা দেয়া থাকতে হবে
  • ফেডারেল ট্রেজারার রেপিড এন্টিজেন টেস্টের খরচ ট্যাক্স থেকে ছাড় দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন
  • নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ডমিনিক পেরোটে মনে করেন যে তার স্টেট ওমিক্রন ঢেউ থেকে দৃঢ়ভাবে মুক্ত হতে যাচ্ছে

এখন অনেক স্টেটই মনে করছে যে তারা কোভিড-১৯ ওমিক্রন কেস সনাক্তের শীর্ষে পৌঁছেছে। এর প্রেক্ষিতে স্কুল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া এবং নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।

সোমবার ২১শে ফেব্রুয়ারি থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক পর্যটকদের স্বাগত জানানো হবে।

ফেডারেল ক্যাবিনেটের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি গত সোমবার প্রায় দুই বছর সীমান্ত বন্ধ থাকার পর আন্তর্জাতিক ভ্রমণ কখন আবার শুরু হতে পারে তা সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক করে।

গত বছরের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক সীমানা পুনরায় খোলার পর থেকে শুধুমাত্র সম্পূর্ণরূপে টিকা নেয়া অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা এবং তাদের পরিবার, পাশাপাশি দক্ষ শ্রমিক, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং ব্যাকপ্যাকারদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন যে আন্তর্জাতিক সীমানা এখন সকলের জন্য খুলে দেয়া হবে, তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে সবাইকে অন্তত দুটি টিকা নেয়া থাকতে হবে।

যাদের টিকা দেওয়া হয়নি, তাদের প্রমাণ দিতে হবে যে টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোন স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি আছে।

স্টেট -ভিত্তিক কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজনীয়তা আছে তা স্টেট এবং টেরিটরিগুলো বিবেচনা করবে।

এ প্রসঙ্গে ফেডারেল স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেছেন যে জাতীয় কোভিড-১৯ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে সনাক্ত সংখ্যা এখন ক্রমাগতভাবে হ্রাস পাচ্ছে, তবে এজড কেয়ার সেক্টেরটি এখনো চাপের মধ্যে আছে।

এদিকে মিঃ মরিসন এজড কেয়ার কেন্দ্রগুলোতে সহায়তা করার জন্য অস্ট্রেলিয়ান প্রতিরক্ষা বাহিনীর ১,৭০০ জন কর্মী মোতায়েন নিশ্চিত করেছেন, কিন্তু জোর দিয়ে বলেছেন যে তারা এই সেক্টরের মূল কর্মীদের প্রতিস্থাপনযোগ্য হিসেবে কাজ করবে না।
Australian Defence Force medical personnel assess needs at an aged-care facility in Frankston in Victoria.
Australian Defence Force medical personnel at an aged care facility in Frankston, Victoria. Source: ADF
এদিকে ফেডারেল ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ রেপিড এন্টিজেন টেস্টের খরচ ট্যাক্স থেকে ছাড় দেয়া হবে বলে একটি ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি ২০২১-২২ আর্থিক বছরের জন্যও প্রযোজ্য হবে, যেখানে পিসিআর এবং রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট (RAT) দুটিই আওতায় থাকবে।

এদিকে কুইন্সল্যান্ডের স্কুল শিক্ষার্থীদের আবার শ্রেণীকক্ষে স্বাগত জানানো হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বলছে যদিও স্কুলগুলিতে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি থাকলেও বন্ধ রাখার সম্ভাবনা কম।

প্রিমিয়ার আনাস্তাসিয়া পালুসে বলেছেন যে স্কুলগুলো দেরিতে খুলছে এবং ঘটনাচক্রে স্টেটে কোভিড-১৯ কেসও কমছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইভেট ডি'আথ বলেছেন যে কেস সংখ্যা যেহেতু এখন কমতে শুরু করেছে, টিকা দেওয়ার প্রমাণের প্রয়োজন নেই এমন স্থানগুলিতে আর চেক-ইন করতে হবে না।

এদিকে তাসমানিয়া বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী থেকে স্কুল শুরু হচ্ছে। স্টেটে ৪৪৩টি নতুন কোভিড-১৯ কেস রেকর্ড করা হয়েছে এবং তবে কেউ মারা যায়নি।

প্রিমিয়ার পিটার গাটওয়েন অভিভাবকদের আশ্বস্ত করে বলেছেন যে স্কুলের রুমে নিরাপদ ভেন্টিলেশন এবং আউটডোরের জায়গাগুলো যাতে ব্যবহার করা যায় তা নিশ্চিত করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী সারাহ কোর্টনি, যিনি ফ্রান্সে ছুটিতে গিয়ে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন, এখন ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন এবং শীঘ্রই কাজে ফিরছেন।

এদিকে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ডমিনিক পেরোটে মনে করেন যে তার স্টেট ওমিক্রন ঢেউ থেকে দৃঢ়ভাবে মুক্ত হতে যাচ্ছে, এবং তিনি কর্মীদের অফিসে ফিরে যেতে অনুরোধ করছেন।
Prime Minister Scott Morrison.
Prime Minister Scott Morrison said the impact of COVID-19 on the aged-care sector in Australia is not as bad as it is in some other countries overseas. Source: AAP
স্টেটে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য ১০ জানুয়ারী থেকে স্থগিত হয়ে যাওয়া জরুরী নয় এমন ঐচ্ছিক অস্ত্রোপচার শুরু হবার কথা আছে ৭ ফেব্রূয়ারি থেকে।

যারা ঐচ্ছিক অস্ত্রোপচার স্থগিত রেখেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্র্যাড হ্যাজার্ড বলেছেন যে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলো যৌথভাবে এখন প্রাক-মহামারী পর্যায়ের অন্তত ৭৫ ভাগ সামর্থ্য নিয়ে ঐচ্ছিক অস্ত্রোপচার শুরু করতে একসাথে কাজ করছে।

৮ ফেব্রুয়ারী এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিউ সাউথ ওয়েলসে কোভিড সনাক্ত সংখ্যা ছিল ৯,৬৯০টি এবং মারা গেছে ১৮ জন, তবে হাসপাতালে ভর্তি সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২০৬৮ জন্যে এবং আইসিইউতে আছে ১৩২ জন।
এদিকে ভিক্টোরিয়া একটি টিকা দেওয়ার মাইলফলক অতিক্রম করতে যাচ্ছে, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ৫০ শতাংশ শিশু তাদের অন্তত একটি ডোজ পেয়েছে।

ডেপুটি প্রিমিয়ার জেমস মারলিনো বলেছেন যখন এটি দারুন একটি অগ্রগতি, তবে এখনও ভিক্টোরিয়ানদের কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা পেতে সাবধান থাকতে হবে।

৮ ফেব্রুয়ারী এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিক্টোরিয়া আরও ২০ জনের মৃত্যুর রেকর্ড করেছে, ৫৭৫ জন হাসপাতালে রয়েছে, যার মধ্যে আইসিইউতে ৭২ জন এবং ৩০ জন ভেন্টিলেটরে।

এদিকে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় সরকার পার্থ এবং দক্ষিণ পশ্চিমের হাসপাতালগুলিতে রেপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার স্ক্রীনিং চালু করেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাম্বার-জেড স্যান্ডারসন বলেছেন যে কেউ যদি জরুরি নয় এমন কাজে জরুরি বিভাগে উপস্থিত হন, তবে হাসপাতালে প্রবেশের আগে তাদের অবশ্যই রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে নেগেটিভ থাকতে হবে।

আপনার ভাষায় কোভিড-১৯ সম্পর্কে তথ্যের জন্য দেখুন

Follow SBS Bangla on .


পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

আরও দেখুন:



Share