প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক প্রচারণায় জায়গা করে নিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা নির্মিত বা এ-আই জেনারেটেড টেক্সট, ভিডিও, ছবি এবং অডিও।
ভারতে বিভিন্ন বলিউড অভিনেতাদের ডিপফেক ভিডিও ভোটারদের সোশ্যাল মিডিয়া ফিডে দেখা গেছে, যেগুলোয় সেসব অভিনেতাদের রাজনৈতিক দলের সমর্থনে কথা বলতে দেখা গেছে, যা মিথ্যে।
ডিপফেকস অ্যানালাইসিস ইউনিটের (ডিএইউ) প্রধান পামপোশ রাইনা বলেন, "তাদের অডিওতে কারসাজি করা হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে তারা মূল ভিডিওতে যা বলেছে তা থেকে বক্তব্য পুরোপুরি বদলে গেছে যাতে মনে হয় তারা একটি নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করছে, যা সত্যি নয়।“
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, সোভিয়েত অফিসারের পোশাক পরা কামালা হ্যারিসের একটি এআই-জেনারেটেড ছবি ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছিল, বিশেষত ল্যাটিনো ভোটারদের মধ্যে।
ফ্যাক্টচেকাডোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনা মারিয়া কারানো বলেন, "হিস্পানিক সম্প্রদায়ের লোকেদের ক্ষেত্রে ল্যাটিন আমেরিকার অন্যান্যদের তুলনায় কর্তৃত্ববাদী শাসকদের ব্যাপারে ধারণা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই এ ধরনের প্রচারণা নিয়ে ভিন্ন অভিজ্ঞতা ও জোরালো প্রত্যাখ্যানের সম্ভাবনা থাকে।“
এসবিএস এক্সামিনসের এই পর্বে আমরা ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের উদাহরণ টেনে দেখাবো যে এআই কীভাবে ভুল তথ্য ছড়িয়ে তাদের নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে।